শুক্র,শনি ব্যাংক বন্ধ থাকায় নবীনগরে গ্রাহক দুর্ভোগ



মিঠু সূত্রধর পলাশ,প্রতিনিধি নবীনগর প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদর অগ্রনী ব্যাংক শাখা শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে প্রবাসিদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গ্রাহকরা। ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে না পারায় অনেকেই কোরবানী দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয় থেকে শিল্প এলাকায় কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি ও রপ্তানী বাণিজ্য সচল রাখা এবং প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গ্রহণের সুবধিধার্থে শুক্র ও শনিবার ব্যাংক খোলা পরিপত্র জারি করা হয়।
পৌরসভাসহ ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলাটি বাংলাদেশের বৃহত্তম রেমিটেন্স প্রবাহ এলাকা। কিন্তু নবীনগর সদর শাখার নাম দেওয়া হলেও অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এত বড় উপজেলায় সদর শাখাকে বাদ দিয়ে মাত্র দুইটি শাখাকে খোল রাখার নির্দেশনা দেয়। উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায় শাখার চেয়ে সদর শাখায় সবচেয়ে বেশী রেমিট্যান্স আসে। অভিযোগ উঠে নবীনগর শাখার ব্যবস্থাপক মোবারক হোসেন তদবির করে নিজ সদর শাখা নাম কর্তন করেন। সদর শাখা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার গ্রাহক। মিজান, আকলিমা, রহিম, বিপ্লব, নুরজাহান বেগম, ফাতেমা বেগম, রহিমা বেগমসহ অনেক রেমিটেন্স গ্রহনকারি গ্রাহকরা ক্ষোভের সংগে বলেন, আমাদের এখন কোরবানী দেওয়াটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর সদর শাখার ব্যবস্থাপক মোবারক আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,নির্দেশনা মোতাবেকই ব্যাংক খোলা ও বন্ধ রাখা হয়েছে, সেখানে আমাদের করনীয় কিছু নেই। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার ডিজিএম অজয় কুমার পুদ্দার বলেন, আমরা নবীনগর সদর শাখার নামসহ প্রস্তাবনা কুমিল্লা পাঠিয়েছিলাম কর্তৃপক্ষ শুধু বাংগরা ও বিটঘর শাখার খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা অঞ্চলের জিএম মোজাম্মেল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কোন প্রস্তাবনা পাঠানোর কথা অস্বীকার করে বলেন,এটা কেন্দ্রীয় প্রধান কার্যালয় থেকে যে ভাবে প্রস্তাবনা এসেছে সেই ভাবেই ব্যাংক খোলার রাখার ব্যবস্থা করা হয়।