নবীনগরে আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীণগর প্রতিনিধি: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বর্ধিত সভা অনু্িষ্ঠত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় নবীনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উক্ত বিষয়ক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম ।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এম এ হালিমের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বোরখান উদ্দিন আহাম্মেদ,সহ সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন,সহ সভাপতি এড. সুজিত কুমার দেব, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন ছিদ্দিক টিটু, হাবিবুর রহমান ইস্টিফেন, ব্যারেস্টার জাকির আহাম্মেদ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছির উদ্দিন, চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির সহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
সভায় প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন,আমাদের নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মাননিয় প্রধানমন্ত্রী,মনবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বাছায়ে যে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে সে ভুলের দায় শুধুই আমার। আমি বুঝতে পারিনি যে উপজেলা চেয়ারম্যানের মতো প্রাথী বাছায় করার কাজ আমার একার নেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা সবাই মিলে নবীনগর কে সাজাতে চাই। সাবেক সাংসদের দুটি প্রকল্পের কাজ আমি দ্রুতই দৃশ্যমান করবো। নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেক্সট মিটিংয়ে আমরা সবাই মিলে উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করবো এবং সঠিক ও গঠনমূলক একটি সিদ্ধান্ত দিবো।
গভা শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের সহ দলিয় সকল নেতা কর্মিদের সুস্থ্যতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ জানুয়ারি নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে দায়িত্ব দেন দলীয় নেতারা। পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান স্টিফেনকে দলের একক প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। এরপর থেকেই স্টিফেনকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তিনি ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ‘নিকট আত্মীয়’ বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে স্টিফেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু, আল-আমিন আহমেদ ও সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস। যদিও নবীনগরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন স্টিফেন। তিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের আত্মীয় বলে জানান।