গাছের কৃত্রিম পাতা
অক্সিজেন ছড়াবে, জীবন বাঁচাবে মহাশূন্যে
মানুষ এবার কৃত্রিমভাবে গাছ ও তার পাতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রাণিজগতের বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত যে অক্সিজেন, তা উৎপন্ন করবে এই কৃত্রিম গাছেরপাতা।
এ ছাড়া এ গাছ পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যে বেঁচে থেকে অক্সিজেন উৎপন্ন করতে সক্ষম বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, মানুষের তৈরি গাছ ও এর পাতা আলো এবং পানি ব্যবহার করে অফুরন্ত অক্সিজেন উৎপন্ন করবে। অক্সিজেনের সরবরাহ না দেখা গেলেও মহাশূন্যে গাছ থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করা অনেক কঠিন একটি বিষয়।
মহাশূন্যে মধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে সবুজ সবজি উৎপন্ন করা অনেকটাই অসম্ভব বলা চলে।
কিন্তু মজার বিষয়, এ সব বিষয়ে নতুন আশা জাগিয়েছেন জুলিয়ান মেলচিওররি নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি গাছের কৃত্রিম পাতা উদ্ভাবন করে মহাশূণ্যে দীর্ঘমেয়াদী ভ্রমণকে আশার আলো দেখিয়েছেন। তার এই বিস্ময়কর এই উদ্ভাবন মহাশূন্য যাত্রায় নতুন আলো ছড়িয়েছে।
তিনি সিল্ক দিয়ে গাছের কৃত্রিম পাতা তৈরি করেছেন, যা অফুরন্ত অক্সিজেন উৎপন্ন করবে। এতে করে মহাশূন্য জীবন ধারণ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
এই সিল্কপাতা (Silk leaf) অজৈব জৈবিক। এটি পানি ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করবে এবং একইভাবে গাছ যেভাব অক্সিজেন উৎপন্ন করে, ঠিক সেভাবেই অক্সিজেন উৎপন্ন করবে।
এই কৃত্রিম সিল্ক পাতাটি মেলচিওররি ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির (Tufts University) ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে। এ পাতায় ক্লোরোপ্লাস্ট (chloroplasts) আছে।
এ বিষয়ে জুলিয়ান মেলচিওররি বলেন, আমি মূলত গাছের পাতার কোষ থেকে ক্লোরোপ্লাস্টকে বের করে আনি। তারপর এটিকে সিল্ক প্রোটিনে স্থাপন করি। এর ফলস্বরূপ প্রথম ফটোসিনথেটিক পেয়ে যাই এবং এটি প্রাকৃতিক গাছের পাতার মতোই স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে থাকে।