Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ :: প্রধান নির্বাহীর সরকারি বাসায় থাকেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী

+100%-

zila porisod
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের একজন নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পরিষদের প্রধান নির্বাহীর জন্য বরাদ্দ করা সরকারি বাসভবনে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিনা ভাড়ায় থাকছেন। তিনি পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে উৎকোচ নেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই কর্মচারীর নাম ওমর ফারুক। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নাম আবদুল আলীম। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, আবদুল আলিম গত ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্মীপুর থেকে বদলি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন। ওমর ফারুকও গত বছর লক্ষ্মীপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বদলি হন। আসার পর আলীম সরকারি বাসায় না উঠে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে ওঠেন। তাঁর পরিবর্তে ওই সরকারি বাসাটিতে সপরিবারে থাকছেন ফারুক। তবে ডাকবাংলোতে প্রধান নির্বাহী একাই থাকছেন এবং ভাড়া দিচ্ছেন।

সূত্র আরও জানায়, পরিষদের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মান্নান গত মে পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে সরকারি ওই বাসায় থাকেন। গত জুন থেকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ওমর ফারুক তাঁর পরিবার নিয়ে প্রথম শ্রেণির সরকারি ওই বাসভবনে বসবাস শুরু করেন। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত জেলা পরিষদের কোষাগারে ওই বাড়িতে বসবাস বাবদ কোনো ভাড়া পরিশোধ করা হয়নি।
পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওমর ফারুক ও আবদুল আলীম আগে থেকে একই জায়গায় কাজ করায় তাঁদের মধ্যে সখ্য রয়েছে। এ জন্য ফারুকের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চান না। তাঁদের অভিযোগ, ফারুক সরকারি ওই বাসভবনে বাস করার সুবাদে আবদুল আলীমকে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী, পরিবারের জন্য বাজার থেকে শুরু করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আসা-যাওয়ার টিকিট পর্যন্ত নিজ খরচে করে দেন।

পরিষদ সূত্র জানায়, পরিষদের প্রতিটি প্রকল্পে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ওমর ফারুককে উৎকোচ দিতে হয়। এ মাসের শুরুর দিকে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়া গ্রামের ফুলকার কান্দি জামে মসজিদে এক লাখ টাকা ব্যয়ে টাইলস বসানোর একটি প্রকল্পের কাজ হয়। মসজিদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বলেন, প্রকল্পের নথি পাস করানোর কথা বলে ওমর ফারুক তাঁর কাছ থেকে প্রথমে তিন শ টাকা এবং পরে আরও এক হাজার টাকা নিয়েছেন।

ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য সরকারি ওই বাসভবনটি মেরামতের কাজ চলছে। এটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো নিরাপত্তাকর্মী নেই। তাই আমি পরিবার নিয়ে সেখানে বাস করছি।’ প্রকল্প থেকে টাকা আদায়ের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, এসব অপপ্রচার।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আলীম বলেন, সরকারি ওই বাসভবনটি দেখাশোনার জন্য কোনো লোক না পেয়ে ওমর ফারুককে সেখানে থাকতে বলা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি ওই বাসভবনে উঠে যাবেন।

জেলা পরিষদের প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারী বলেন, সরকারি বাসভবনে কেন থাকছেন না সে বিষয়টি নিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। প্রকল্প থেকে নিম্নমান সহকারীর উৎকোচ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। সত্যতা পেলে ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ :: প্রথম আলো






Shares