শহরে বেড়েছে পাগলা কুকুরের উৎপাত



ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে পাগলা কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পৌরবাসী। ইতোমধ্যে পাগলা কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়া, কান্দিপাড়া, মৌলভীপাড়া, কুমারশীল মোড়, টিএ রোড, পূর্ব মেড্ডা, সরকারপাড়া, মুন্সেফপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের উৎপাত বেড়ে চলেছে। হাট-বাজার কিংবা পাড়া-মহল্লার রাস্তায় পাগলা কুকুড়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ সকল পাগলা কুকুর দল বেঁধে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করছে। কুকুরের ভয়ে স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছে।
কুকুর নিধন আইন বর্হিভূত হওয়ার কারণে এখনো পর্যন্ত পৌরসভা থেকে পাগলা কুকুর নিধনে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পৌরবাসী।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, গত কয়েক বছর আগে পৌরসভা থেকে পাগলা কুকুর নিধনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু কুকুর নিধন করা এখন আইন বর্হিভূত কাজ। তাই এ বছর কুকুর নিধনে পৌরসভা থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
এদিকে প্রায় প্রতিদিনই পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সদর হাসপাতালে পাগলা কুকুড়ের কামড়ে আহত হয়ে ১৯ জন চিকিৎসা নেয়ার জন্য এসেছেন। কিন্তু ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাদের।
এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, পাগলা কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে প্রতিদিন রোগীরা হাসপাতাল আসছেন। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন মজুদ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
তিনি আরো বলেন, সদর হাসপাতালে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয় তা চাহিদা অনুযায়ী খুবই অপ্রতুল। তাই অতিরিক্ত ভ্যাকসিনের জন্য মহাখালীতে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদন, আজিজুল আলম সঞ্চয়