ইউপি নির্বাচন ::নবীনগর বীরগাঁও ও কাইতলা ইউপিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বীরগাঁও ও কাইতলা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। দলীয় প্রভাব সৃষ্টি এবং এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বীরগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমেদের পক্ষে এলাকায় বহিরাগতরা আনাগোনা করছে। এতে সরকারদলীয় প্রার্থী জহির রায়হান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কবির হোসেন ও আয়োরুল কাদির আতঙ্কে রয়েছেন।
কাইতলা ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মো. আশীষ ও বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়নের কাইতলা বাজারে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
কাইতলা ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মো. আশীষ বলেন, ‘আমি ২২ বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে উপজেলার নেতারা টাকার বিনিময়ে শওকত আলী নামে এক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কাইতলা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বাইশমোজা বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কবির আহমেদের পক্ষে এলাকায় এখন বহিরাগতরা আনোগোনা করছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী দলীয় প্রভাব দেখাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে ২০-৩০ জন বহিরাগত যুবক বীরগাঁও ইউনিয়নে আসে। এ সময় তারা কবির আহমেদের পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল কাদির বলেন, ‘২০০৩ ও ২০১১ সালে নির্বাচন অংশ নিয়ে প্রথমে ১২৬ ও পরে ৩০০ ভোটে পরাজিত হয়েছি। তখন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে অবস্থা খারাপ।’
বীরগাঁও ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহির রায়হান বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যানের পক্ষে বহিরাগতরা এলাকায় যখন মনে চায় তখন আসতেছে। নির্বাচনী পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে।’
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার বাড়িতে মেহমান আসতেই পারে। যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোট কাইট্টা নেওয়ার কথা বলছে। ফলাফল পরিবর্তন করবে বলছে।’
নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মার্চ দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।সূত্র:: প্রথম আলো