Main Menu

সৌদিতে প্রবাসীকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়: বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ৩

+100%-

সৌদি আরবের রিয়াদে রাসেল নামে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে আটকে রেখে দেশে থাকা তার পরিবারের কাছ থেকে ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়কারী সংঘবদ্ধ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তালেবুর রহমান। বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আকরাম (৩৩), ইসমাইল হোসেন (৩৪) ও মজিব রহমান নিলয় (২৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায়কৃত বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

খিলগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, রাসেল একজন সৌদি আরব প্রবাসী ব্যবসায়ী। গত ১১ জানুয়ারি একটি মোবাইল নম্বর থেকে তাকে ফোন দিয়ে ব্যবসার কথা বলে নির্দিষ্ট ঠিকানায় যেতে বলে। সেখানে গেলে একটি চক্র তাকে অপহরণ করে। অপহরণের পর তার চোখ বেঁধে মারধর করে এবং একটি ঘরে আটকে রাখে। রাসেলকে আটকে রেখে তার ওপরে অমানুষিক নির্যাতন করে চক্রটি গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দেশে থাকা তার পরিবারের কাছ থেকে চক্রটির দেশে অবস্থান করা সদস্যদের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে বিভিন্ন বিকাশ নম্বর ও এজেন্ট ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায় করে। মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পর অপহরণকারী চক্রটি রাসেলকে সৌদি আরবের রিয়াদের রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর শ্বশুর মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২১ জানুয়ারি খিলগাঁও থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

থানা সূত্র আরও জানায়, মামলা করার পর খিলগাঁও থানা পুলিশ অপহরণকারী চক্রের বাংলাদেশে অবস্থান করা সদস্যদের চিহ্নিত করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় জেলার রামগঞ্জ থানার সিরন্দী গ্রামের আকরামকে গ্রেপ্তার করা হয়। আকরামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার সোনারামপুর বাজারে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর থানার রতনপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মজিব রহমান নিলয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। দেশে অবস্থানকারী চক্রের অন্যান্যদের গ্রেপ্তার ও মুক্তিপণের অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।