ত্রিপুরায় তিতাস সদস্যদের আবৃত্তি পরিবেশন ও শুভেচ্ছা ক্রেস্ট প্রদান
প্রতিবেদক॥ ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় আত্মপ্রকাশ করেছে উড়ান নাকে একটি আবৃত্তি সংগঠনের।গত মঙ্গলবার রাতে আগরতলার সুকান্ত প্রেক্ষাগৃহে এ উপলক্ষে বাংলা ভাষার বিভিন্ন প্রান্তের বাচিকশিল্পিদের উপস্থিতিতে-এসো কবিতায় হাত ধরি-শীর্ষক এক কবিতা সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের উদ্যোক্তা,বিশিষ্ট বাচিকশিল্পি ও সঞ্চালক শুভ্রজিত ভট্রাচার্য ও বাচিকশিল্পি গোপা সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মানিক সরকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রিপুরার পন্ডিত ব্যক্তিত্ব শ্রী সন্মাত্রানন্দ মহারাজ,গণমানুষের কবি দিলীপ দাস।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো.মনির হোসেন।
চট্রগ্রামের আবৃত্তি সংগঠন তারুণ্যের উচ্চাসের সাধারন সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় কবিতা কোলাজ-জননী জন্মভূমি-সমবেত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে কবিতা সন্ধ্যার শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বৃন্দ পরিবেশনায় অংশ নেন আবৃত্তি সংগঠন কবিতালোক,সৃষ্টি,দক্ষিণী,অর্কদ্যুতি,সবুজকলি।
একক পরিবেশনায় অংশ নেন কলকাতার মোমপিয়ালী,শিলচরের অমিত সিকিদার,সংহিতা পাল,আগরতলার বৈশম্পায়ন চক্রবর্তী,পিনাক পানি দেব,সুমন ভট্রাচার্য,শুভাশিষ কর।শ্রুতি নাটকে অংশ নেন স্বপন নন্দী,শুভ্রা ধর,উদয় শংকর ভট্রাচার্য,চন্দনলেখা পাল,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাছির দুলাল।
কবিতাযোগে নৃত্য ও মুকাভিনয়ে অংশ নেন সর্বানী নন্দী ও তার দল।
স্বরচিত কতিা পাঠে অংশ নেন কবি দিলীপ দাস,চট্রগ্রামের কবি ভাগ্যধন বড়ুয়া,কবি মনিরুল মনির।
কবিতা সন্ধ্যায় একটি সুরম্য ফোল্ডারের মোড়ক উন্মোচন করেন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
এসময় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পক্ষে সদস্য স্বপন কুমার দেবনাথ একটি শুভেচ্ছা ক্রেস্ট উড়ানের সদস্য বিপুল ভৌমিকের হাতে তুলে দেন।
সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আগরতলা শহরের কয়েকশত দর্শক-শ্রোতা কবিতা সন্ধ্যাটি মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন।
এ ব্যাপারে উড়ানের সংগঠক বাচিকশিল্পি শুভ্রজিত ভট্রাচার্য বলেন,আমরা সকল প্রকার ভৈৗগলিক সীমানা ডিঙ্গিয়ে পাখির মতো ভাবের,ভাষার,সংস্কৃতির বিনিময় করতে চাই।মানুষে,মানুষে ভেদাভেদ,বৈষম্য কমিয়ে একটি সুন্দর ভারত-বাংলার স্বপ্ন দেখি আমরা।বাংলা ভাষার সকল প্রান্তের বাঙ্গালীদের সম্মিলনের মধ্য দিয়ে বিকশিত হবে আমার মায়ের ভাষা বাংলা।ভাষাই হবে আমাদের মিলনের প্রধান হাতিয়ার।