লকডাউন উঠে গেলেও এই অভ্যাসগুলি ছাড়বেন না
আনন্দবাজার :: দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের দিনগুলো ফুরিয়ে এল। তবে তার পর যে লকডাউন পুরোপুরি উঠে যাবে, তা নিশ্চিত ভাবে এখনও বলা যাচ্ছে না। লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে কি না, বাড়লে কত দিনের জন্য এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের দিনগুলো ফুরিয়ে এল। তবে তার পর যে লকডাউন পুরোপুরি উঠে যাবে, তা নিশ্চিত ভাবে এখনও বলা যাচ্ছে না। লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে কি না, বাড়লে কত দিনের জন্য এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। অনুমান, সংক্রমণের হার যে সব অঞ্চলে বেশি, সেখানে লকডাউনের কড়াকড়ি বহাল রেখে সংক্রমণ-মুক্ত বাকি এলাকায় শিথিল করা হবে কিছু নিয়মকানুন। সে ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে উঠতে পারে লকডাউন। কিন্তু নিয়মকানুন শিথিল হলেও মাথায় রাখা দরকার, সরকারি নিয়ম যাই হোক না কেন, ব্যক্তিগত ভাবেও আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। কারণ, বিশেষজ্ঞেরা বার বার বলছেন, লকডাউন দিয়ে করোনা ভাইরাসকে পুরোপুরি দমন করা সম্ভব নয়। তার সংক্রমণের গতি বড়জোর কিছুটা রুখে দেওয়া যায়। ফলে, সেই ফাঁকে রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতির জন্য বাড়তি কিছুটা সময় পাওয়া যায়।
তাই লকডাউন থাকুক বা না থাকুক, নিরাপদ থাকার জন্য আমাদেরই সাবধান হতে হবে। কারণ, সংক্রমণ আপাতত কমে গেলেও পরে যে তা আবার বাড়বে না, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই জেনে নেওয়া ভাল, লকডাউন উঠে গেলেও কী কী সাবধানতা মেনে আমাদের চলতেই হবে। চলতে হবে আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যদেরও।
স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। অনুমান, সংক্রমণের হার যে সব অঞ্চলে বেশি, সেখানে লকডাউনের কড়াকড়ি বহাল রেখে সংক্রমণ-মুক্ত বাকি এলাকায় শিথিল করা হবে কিছু নিয়মকানুন। সে ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে উঠতে পারে লকডাউন। কিন্তু নিয়মকানুন শিথিল হলেও মাথায় রাখা দরকার, সরকারি নিয়ম যাই হোক না কেন, ব্যক্তিগত ভাবেও আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। কারণ, বিশেষজ্ঞেরা বার বার বলছেন, লকডাউন দিয়ে করোনা ভাইরাসকে পুরোপুরি দমন করা সম্ভব নয়। তার সংক্রমণের গতি বড়জোর কিছুটা রুখে দেওয়া যায়। ফলে, সেই ফাঁকে রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতির জন্য বাড়তি কিছুটা সময় পাওয়া যায়।
তাই লকডাউন থাকুক বা না থাকুক, নিরাপদ থাকার জন্য আমাদেরই সাবধান হতে হবে। কারণ, সংক্রমণ আপাতত কমে গেলেও পরে যে তা আবার বাড়বে না, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই জেনে নেওয়া ভাল, লকডাউন উঠে গেলেও কী কী সাবধানতা মেনে আমাদের চলতেই হবে। চলতে হবে আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যদেরও।
সরকারি ভাবে লকডাউন শেষ হওয়ার পরেও কিন্তু বহু সংস্থাই তাঁদের কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালিয়ে যেতে বলবে। আপনি যদি তেমনই কোনও সংস্থায় চাকরি করেন, তা হলে এখন সেলফ-কোয়রান্টিনের যে নিয়মগুলো মেনে চলছেন, সেগুলোই চালিয়ে যেতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোবেন না। বেরোলেও দ্রুত কাজ শেষ করে ঢুকে পড়ুন ঘরে।
হাত ধোওয়ার অভ্যাস ছাড়বেন না
কোভিডের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। সেই অভ্যাস লকডাউন উঠে গেলেও বজায় রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে জামাকাপড় বদলে ফেলুন, সাবান দিয়ে খুব ভালো করে হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। এমনকী, করোনা-আতঙ্ক পুরোপুরি মিটলেও এই অভ্যাসটা ধরে রাখতে হবে। তাতে আরও অনেক রোগ-ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
মাস্ক পরা বন্ধ করা উচিত নয়
কোনও কারণে বাড়ির বাইরে যেতে হলে মাস্ক বা ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে ভাল ভাবে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। তাতে শুধু কোভিড নয়, বাতাসের ধুলো, ময়লা, দূষণের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।
ভিড় এড়িয়ে চলার অভ্যাস বজায় রাখুন
যে কোনও জনবহুল এলাকা এখন আগামী কয়েক মাসের জন্য এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। দোকানবাজারে বেশি লোক জমে গেলে দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন। বা, অন্য দোকানে যান। ট্রাম, বাস, মেট্রোয় খুব ভিড় থাকলে উঠবেন না। সে জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বেরবেন। যাতে ফাঁকা পরিবহণ না পেলে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে পারেন।
নিজের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন সব সময়
সর্দি-কাশি হলেই রুমাল বা টিস্যু পেপার সঙ্গে রাখুন। হাঁচি, কাশির সময় মুখ, নাক ঢেকে নিতে ভুলবেন না। একাধিক রুমাল সঙ্গে রাখুন। যাতে প্রয়োজন হলে বদলে নিতে পারেন। রুমাল প্রতি দিন ব্যবহারের পর ভাল ভাবে জলে ধুয়ে ও রোদে শুকিয়ে নেবেন।
রেস্তোঁরা, পাব, পার্টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলে হবে
আপাতত বেশ কয়েক মাস এই সব থেকে দূরে থাকতেই হবে। শুধু রেস্তোঁরা বা পার্টিই নয়, এড়িয়ে চলতে হবে সিনেমাহল বা থিয়েটারও। ভিড় বেশি হয়, এমন সব জায়গাই এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়িতেও বড় পার্টি, বেশি লোকজন নেমন্তন্ন করা, এই সব কিছু দিনের জন্য হলেও বন্ধ রাখতে হবে।
লকডাউন উঠলেই বাইরে বেড়াতে যাবেন না
লকডাউন শেষ হলেই মুক্তি পেয়েছেন ভেবে হুট করে বাক্স, প্যাঁটরা নিয়ে বাইরে ক’দিনের জন্য বেড়াতে চলে যাবেন না। আপাতত আরও কয়েক মাস নিরাপদ বাড়ি বা নির্দিষ্ট এলাকার ঘেরাটোপেই থাকুন।