বিনামুল্যে সুস্থ্ থাকার উপায়ঃ
মানুষের শরীরের জন্য যে উপাদানটা সবচেয়ে জরুরী সেটা হলো অক্সিজেন। আর এই অক্সিজেন আমরা পাই বাতাস, পানি আর খাদ্যের মাধ্যমে। বাতাসের অক্সিজেন আমরা শরীরে গ্রহন করি শ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই অক্সিজেন গ্রহন করাটা সবচেয়ে জরুরী এবং নিঃশ্বাস বন্ধ হলে অক্সিজেনের অভাবে আমরা বাঁচবো না। এই অক্সিজেনের প্রাচুর্যতার উপর সুস্থতা অনেকখানি নির্ভর করে। শরীরে অক্সিজেন প্রবাহ কমে গেলে বা অনিয়মিত হলে নানা ধরনের সমস্যার উদ্ভুত হয়। নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস গ্রহন করি তা থেকে শুধু অক্সিজেন ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে মিশে যায় এবং শরীরের প্রতিটা কোষে কোষে সেই অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। অক্সিজেন না পেলে শরীরের কোষগুলো মারা যায়। এই কথাগুলো আমরা সবা্ই জানি। আমরা আরো জানি অক্সিজেন না পেলে আমরা মারা যাবো।
এই যে অতি গুরুত্বপূর্ন এই অক্সিজেন আমরা কি কখনো নিজ ইচ্ছায় জেনেশুনে নিজের ভিতর টেনে নিয়েছি ইচ্ছাকৃতভাবে। আমরা সাধারনত অবচেতনভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেই এবং তাতে শরীরের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনটুকু ভিতরে গেল কিনা তারও খবর আমরা রাখি না। এভাবেই আমরা বেচেঁ থাকি। তবে হা কারো যদি শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানী থাকে তখন সে বুঝে বাতাস কি জিনিস এবং এর কি অপরিসীম প্রয়োজনীয়তা, তখন আমরা টাকা খরচ করে এই অক্সিজেন ক্রয় করে থাকি। যাই হোক, মোট কথা হলো আমরা কেউ এর খবরও রাখি না।
কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন ৩বার অন্তত ২ মিনিট করে বুক ভরে বা পেট ভরে শ্বাস গ্রহন করেন তবে এটা আপনার জন্য কতখানি উপকার তা বলে শেষ করা যাবে না। এটা করতে আপনার কোন টাকা পয়সা খরচ হবে না এবং এটা করতে আপনাকে কোন কষ্টও করতে হবে না। শুধুমাত্র বুক ভরে শ্বাস নিবেন এবং ছেড়ে দেবেন। কোন কষ্ট হবে কি?
মনে করুন আপনি কোন অফিসে চাকুরী করেন, সারাদিন প্রচন্ড ব্যস্ত থাকেন। এক সময় খুব টায়ার্ড হয়ে যাবেন নিশ্চয়ই। আপনি তখন রিল্যাক্স হয়ে বসুন চোখ বন্ধ করুন আর নাক দিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন আবার সেই শ্বাস মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন, যতখানি বাতাস ভেতরে গেছে সবটা ছেড়ে দিন। এভাবে ৫বার করুন। আবার মুখ দিয়ে পেট ভরে বাতাস নিন, নাক দিয়ে বাতাস ছেড়ে দিন এভাবে ৫বার করুন। আবার শুধু নাক দিয়ে নিন নাক দিয়েই ছাড়ুন ৫বার। এভাবে ২ মিনিট খেলা করুন তারপর দেখুন ম্যাজিক। ক্লান্তি উধাও। আবার হারানো শক্তি শরীরে ফিরে এসেছে।
এভাবে প্রতিদিন যখনি সময় পাবেন বুক ভরে, পেট ভরে শ্বাস নিন। জেনে বুঝে নিন। খুব বেশী না ৫বার থেকে ১০বার করুন। দেখুন ৭দিন পর এর উপকারীতা। সুস্থতা আপনার সাথেই থাকবে সকল সময় আর শ্রান্ততা পালাবে আপনাকে ছেড়ে বহু দুরে।
অথবা যাদের রাতে ঘুম হয় না বা রাতে দেরীতে ঘুমানোর অভ্যাস। তারা বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিয়ে খেলা করুন, বুক ভরে, পেট ভরে শ্বাস নিন। দেখুনতো ঘুম আসে কিনা?
সবচেয়ে গুরুত্পূর্ন এই বাতাস বা অক্সিজেন প্রভূ বিনামুল্যে দিয়ে রেখেছে প্রকৃতিতে। আসুন আমরা গ্রহন করি প্রভুর দেয়া এই বিশেষ সুবিধাটুকু আর সুস্থতাকে শৃংখল পড়িয়ে রাখি নিজের সাথেই।
তবে সাবধান একবারে অনেক বেশীক্ষন না করাই ভালো এবং তাড়াহুড়ো করবেন না এটা করার সময়। তাতে মাথাঘুরা বা মাথা ঝিমঝিম করতে পারে। উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত এবং পরিমিত করাই ভালো।