বাংলাদেশের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ি (মূল্য মাত্র ৩০০ কোটি টাকা)
এ বিষয়ে মাহতাবুর রহমান বলেন, ”প্রথমে আমি দুবাই থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসেছিলাম, উনি প্রথমে ডিজাইনটা করেছিলেন, পরবর্তীতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনটা দিয়েছিলাম একজন লেবানিজকে। পুরো বাড়িটির লাইটিং-এর কাজ করেছেন জার্মানের কম্পানি টিফেনি লাইটিং। আর ফ্লোরগুলো করে দিয়েছে ফ্রান্সের একটি কম্পানি।”
জানা যায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে বিলাসবহুল এই বাড়িটি। নির্মাণব্যয় নিয়ে বাড়ির মালিক মাহতাবুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”আমি নিজের ব্যবহারের জন্য বাড়ি করেছি, তাই এইটা নির্মাণে কত ব্যয় হয়েছে আমি তা হিসেবে করে দেখিনি।”
তিনি বলেন, ”এইটা যদি আমার ব্যবসা হতো তাহলে আমি হিসাব রাখতাম। কত দিয়ে কিনেছি আর কত বিক্রি করবো, লাভ-ক্ষতির হিসাব রাখতাম। বাড়ির প্রয়োজনে যখন যা লেগেছে আমি তা খরচ করেছি।”
গত ৮ বছর ২৫০ জন শ্রমিক নিরলস কাজ করে তৈরি করেছেন বাড়িটি। বর্তমানে বাড়ির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। ৩ তলা এই বাড়িটির বিল্ডার এরিয়া প্রায় ৮০ হাজার স্কয়ার ফিট। ৫ হাজার মানুষের অনুষ্ঠান করার বন্দোবস্ত আছে এই বাড়িতেই। পারিবারিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রয়েছে পৃথক পৃথক কক্ষ।
মাহতাবুর রহমান জানান, ২৯টি মাস্টার বেডের ডিজাইন করা হয়েছে ২৯টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে। ভবনের শুধু নিচ তলায় রয়েছে ৯টি ডাইনিং রুম, ১৪টি ড্রইং রুম, আছে ২টি লিফট, অভিজাত ইতালিয়ান বুক ম্যাচিং ওয়ান প্লেট মার্বেলের আধিক্য আছে পুরো বাড়িজুড়ে।
বাড়ির ভেতরে সৌদি আরবের ওয়াকফ মিনিস্ট্রির উপহার দেওয়া পবিত্র কাবা শরিফের দরজার রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে অতি যত্ন করে।
কেউ সরাসরি না দেখলে বুঝানো যাবে না এই বাড়ির সৌন্দর্য ও মাহাত্ম্য। ‘কাজি ক্যাসল’ নামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ঢুকলেও জানা যাবে এই বাড়ির খুটিনাটি।
রাত হলেই লাইটিং দিয়ে একটার পর একটা রংয়ের খেলায় মেতে ওঠে পুরো বাড়িটি। আলোর এমন ঝলকানি আগে কখনো দেখেননি সিলেটের মানুষ।