দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে সরাইলে চেয়ারম্যন সহ ১২ জনপ্রতিনিধিকে দ্বিতীয়বার শোকজ
সরাইল প্রতিনিধিঃ দাঙ্গায় উসকানি দেওয়া ও ষ্ট্যান্ডিং কমিটির কর্মশালায় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সরাইলে চেয়ারম্যান সহ এক ইউনিয়নের ১২ জন জনপ্রতিনিধিকে দ্বিতীয় বারের মত শোকজ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন। প্রথম শোকজ করেছিলেন গত ২১ ডিসেম্বর রোববার। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মুছা উসমানী মাসুদ সহ তার পরিষদের আট ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের তিন মহিলা ইউপি সদস্যকে গতকাল সোমবার শোকজ করা হয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, মোটর সাইকেলকে সাইট না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১ ডিসেম্বর রোববার সকালে কালিকচ্ছ ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কয়েক সহস্রাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। সাত ঘন্টা চলে এ সংঘর্ষ। আহত হয় উভয় পক্ষের শতাধিক লোক। ওসি সহ আট পুলিশ সদস্য ও আহত হয়েছে। ওই দাঙ্গায় নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ সকল ইউপি সদস্য উসকানি দিয়েছে। এ জন্য তারা কেউই ষ্ট্যান্ডিং কমিটির কর্মশালায় উপস্থিত হননি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ ডিসেম্বর ইউএনও ৭৬৯ (১৫) নং স্মারকে ১২ জনকে প্রথম শোকজ করেন। শোকজে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে সরকারি বরাদ্ধ স্থগিত করনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান সহ তারা সকলে গত ২৮ ডিসেম্বর স্মারক নং- নোয়া/ ইউপি/ ২০১৪/৭০ এর মাধ্যমে শোকজের লিখিত জবাব দেন। ওই জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গতকাল দ্বিতীয় বারের মত আবারও তাদেরকে শোকজ করেছেন ইউএনও। যাদেরকে শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন- চেয়ারম্যান আবু মুছা উসমানী মাসুদ, ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, অলি শাহরিয়ার শিপন, নাছির উদ্দিন মৃধা, মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ মিজান মিয়া, অলি আহাদ, ফজলুর রহমান, মাহম্মদ আলী, মহিলা মোছাঃ লিপি বেগম, শাহিদা বেগম ও রাশেদা বেগম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বার জনপ্রতিনিধিকে শোকজ করার কথা স্বীকার করে বলেন, সংঘর্ষের মত ঘটনায় জনপ্রতিনিধিদের উসকানি গর্হিত কাজ। তাই প্রথম শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয়বার শোকজ করা হয়েছে।