মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যর্নিবাহী কমিটির অন্যতম নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে ভাতের অভাব হয় না। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন। খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করে বিদেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে। অথচ অন্যদল ক্ষমতায় এলেই দেশে ভাতের অভাব হয়। দেখা দেয় খাদ্য সংকট। বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে আদর্শিত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য প্রযুক্তি ও বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন ঘটেছে। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে অনেকটাই সফল হয়েছেন। এ ভিশনের মধ্যেই এদেশ মধ্যম আয়ের দেশের পরিনিত হবে। এ জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস ও মহান বিজয় দিবস আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের দিন। এ দিন আমাদের অহংকার ও গৌরবের দিন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে এবং সাধারন মানুষের অংশ গ্রহনে আমরা দেশ প্রেমের চেতনা দিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। আর এখন সেই দেশ প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুন্দর সুখি সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন রাজাকরদের সহমর্মিতা দেখানোর কোন সুযোগ নেই। হত্যা লুন্ঠন ও ধর্ষনের দায়ে ইতিহাসের পাতায়, বাঙ্গালীর হৃদয়ে তারা চিরদিনই ঘৃনার পাত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। তাদের বিচার চলছে। কোন ষড়যন্ত্র করে এই বিচার বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সকল কে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। তিনি গতকাল বিকালে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সপ্তাহ ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এড.ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি এমপি, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবীদ প্রফেসর মোঃ আশরাফ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আলম। সভায় মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ স্বাগত বক্তব্যে মেলা সফল ভাবে সমাপ্ত হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানান। এবং আগামী বছর আরো বর্নাঢ্য ভাবে মেলা আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস। সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মেলায় মুক্তিযুদ্ধে বীরচিত আবদান রাখার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খ্যাতিমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছারাও বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংস্কৃতি ব্যক্তি মনজুরুল আলম এর পরিচালনায় মনোঙ্গ সঙ্গীত ও আবৃত্তি এবং বিকালে ঝিলমিল শিশু কিশোর একাডেমীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।