আজকের তরুনদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা রক্ষা করার যুদ্ধ করতে হবে-সাবেক রাষ্টদূত হুমায়ন কবির
ডেস্ক ২৪::৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে সপ্তাহ ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ষষ্ঠ দিনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় মেলা উদযাপন পরিষদ কর্তৃক অয়োজিত ষষ্ঠ দিনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্টদূত বীরমুক্তিযোদ্ধা হুমায়ন কবির। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আসলাম সানী, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি এড. আবু তাহের, প্রেস ক্লাব সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন মইন। স্বরচিত কবিতা পাঠন করেন এমআর মজ্ঞু। সভায় সভাপত্বি করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডার এস.এম. আজিজুল ইসলাম মুসা। সভা পরিচালনা করেন সংস্কৃতি কমী হাবিবুর রহমান পারভেজ। সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ শুধু অস্ত্রধারী কিছু মানুষের মুক্তিযুদ্ধ ছিল না। এ যুদ্ধছিল বাংলার আপামর সকল জনতার মুক্তিযুদ্ধ। সে সময় কিছু সংখ্যক মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল। তারা তখনও সংখ্যালুঘু ছিল এখনও তারা সংখ্যালুঘু। এখন সে সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তা বাংলার মানুষের প্রাণের দাবি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে সমষ্টির জন্য ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগকরে নিজের জীবন উৎসর্গ করা। ৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা তাই করেছিলেন। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সময়ের প্রয়োজনে। তখন আমরা তরুন ছিলাম। আমাদের প্রতি তখনকার মানুষের আস্থাছিল বলেই আমাদের ন্যায়ের যুদ্ধে মানুষ সমর্থন করেছিল। আজ যারা তরুন তাদের জন্য একটি যুদ্ধ রয়েছে তা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা রক্ষা করার যুদ্ধ এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ রেখে যাওয়ার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জয়ী হতে হলে নতুন প্রজন্মকে চরিত্রবান হতে হবে। তাদের আরো বিশ্বায়িত হতে হবে। আরো দক্ষ. চিন্তাশীল, পরিশ্রমী ও ত্যাগী হতে হবে। তিনি প্রবীণ তরুন সকলে মিলে বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিতে আহবান জানান। মেলায় আবরণী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিবর্তন শিল্প সাহিত্য সংসদ, বাউল শিল্পী দূর্গাচরণ দাস ও তাঁর দলের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। মেলায় অংশ দর্শক সমাগম হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা চলবে। মেলায় প্রতিদিন দেশ বরণ্যে ব্যক্তিদের অংশ গ্রহনে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।