নাস্তিক বদমাইশ লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির আইন সংসদে পাস করুন-চরমোনাই পীর
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে ::ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমীর আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ৯৩ ভাগ মুসলমানের দেশে নিয়ম নীতি থাকবে আল্লাহ ও রাসুলের। এ কাজ বাস্তবায়নে প্রথম এগিয়ে আসবে মুসলমানরা। পরে অন্য ধর্মালম্বীরা। আমাদের দেশে এ পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা ইসলামের সাথে প্রতারণা করেছে। তারা মুখে যা বলে তা বাস্তবে করে না। ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের উপর ইজরাঈলিদের হামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তারপরও আমেরিকা এটাকে সমর্থন করছে। তামাম দুনিয়ায় চলছে বিভিন্ন তন্ত্র। আমেরিকা রাশিয়া ও ভারত চলছে ভিন্ন তন্ত্রে। আত্মহত্যা বেড়েই চলেছে আমেরিকায়। মোটেও শান্তি নেই রাশিয়া ও ভারতে। আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দিয়ে আওয়ামীলীগ সেখানে লিখেছে ধর্ম নিরপেক্ষতা। ধর্মের ব্যাপারে কোন সময় নিরপেক্ষ থাকা যায় না। তিনি সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, সংসদে বসে ইসলাম বা শরীয়াহ বিরুধী কোন আইন পাশ করবেন না। ক্ষমতায় গেলে তারা ইসলামের কথা ভুলে যায়। কিছু মাওলানা ইসলামী মূল্যবোধের সরকারের কথা বলে থাকেন। এরা মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেন এক মহিলার চেয়ে আরেক মহিলা ভাল। আমি পরিস্কার ভাষায় বলতে চায়- যেই জাতির নেতৃত্বে মহিলা থাকে সেই জাতির কখনো কল্যাণ হবে না। তারা বলে থাকেন গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগন সকল ক্ষমতার উৎস। এটা মিথ্যা কথা ধোঁকা। সকল ক্ষমতার উৎস আল্লাহ। আল্লাহ, রাসুল (সঃ) ও আলেম ওলামা সম্পর্কে যারা বাজে কথা বলবে তারা ইসলামের শত্র“। নাস্তিক মুরতাদ। লতিফ সিদ্দিকি পবিত্র হজ্ব ও নবী করিম (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে। সে নাস্তিক বদমাইশ। আওয়ামীলীগ তাকে দল থেকে বহিস্কার করেছে। সে তো জয়ের বিরুদ্ধেও কথা বলেছে। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝি যে শুধু ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তির জন্য শাস্তি দিয়েছে। যদি তাই হতো বাংলাদেশের রাস্তা দিয়ে সে কিভাবে পাঁয়ে হেঁটে বাসায় যেতে পারে। শুধু মানুষের জন্য আইন নয়। নাস্তিক মুরতাদদের বিচার করার জন্য আইন করুন। সংসদে লতিফ সিদ্দিকির ফাঁসির আইন না হওয়া পর্যন্ত মুসলমানরা ঘরে ফিরে যাবে না। গতকাল শনিবার বিকেলে সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেন। থানা কমিটির সভাপতি মাওলানা যুবাইর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহা-সচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা গাজী নিয়াজুল করীম, মাওলানা আবদুল গণি, মাওলানা হারুনুর অর-রশিদ, সরাইলের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ক্বারী মুখলেছুর রহমান, হাফেজ শফিক আজিজী, মাওলানা আবদুল্লাহ, আবদুর রউফ মাষ্টার প্রমূখ। সমগ্র অসুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান হিফয। বক্তারা বলেন, হাসিনা খালেদা মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। একজন লালন করেছেন তসলিমা নাছরিনকে আরেকজন লতিফ সিদ্দিকিকে। লতিফ সিদ্দিকির বিষয়ে নিরব থাকায় তারা কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপি জামায়াত ও জাতীয় পার্টির।