Main Menu

আজ আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস

+100%-

শামীম উন বাছির:: আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী আশুগঞ্জকে হানাদার মুক্ত করে আশুগঞ্জে উত্তোলন করেছিলেন লাল-সবুজের পতাকা। ১৯৭১ সালের ৯ডিসেম্বর আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর প্রায় ৩ শতাধিক সৈন্য শহীদ হন। যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীও প্রায় শতাধিক সৈন্য মারা যায়। ১০ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ও বেঙ্গল রেজিমেন্ট রাত ব্যাপী প্রস্তুতি নিয়ে ভোরে যুদ্ধ শুরু করে। পাকিস্তানী বাহিনী রাতেই আশুগঞ্জ থেকে পার্শ¦বর্তী  কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময়  আত্মরক্ষার জন্য মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর ভৈরব রেল সেতুর দুটি স্পেন ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এতে সেতুর ২টি স্প্যান ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। পরে ১১ ডিসেম্বর সকালে বিনা বাঁধায় আশুগঞ্জ বাজার এলাকা দখল করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী। এতে আশুগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়।
ওই সময় যুদ্ধে নেতৃত্ব  দেন তৎকালীন লেঃ কর্ণেল কে.এম সফিউল্লাহ, লেঃ কর্ণেল হেলাল মোর্শেদ, মেজর নাসির, ক্যাপ্টেন মোঃ নাসিম, ক্যাপ্টেন মতিনসহ আরো অনেকে। আশুগঞ্জকে মুক্ত করতে গিয়ে পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন সুবেদার সিরাজুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক আব্দুল হাই ও সিপাহী কপিল উদ্দিন প্রমুখ।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকবাহিনী আশুগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরীহ লোকদেরকে ধরে এনে সাইলোর কাছে, মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর কাছে, ধানের আড়তের মাঠে, মাছ বাজারে, রেল ষ্টেশনের কাছেসহ ৫টি স্পটে নিরীহ লোকদের গুলি করে হত্যা করে।
এদিকে আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।






Shares