বিজয়নগরে জাল দলিল দিয়ে সংখ্যালঘুর জায়গা দখল
শামীম উন বাছির :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাও গ্রামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে জাল দলিলের মাধ্যমে এক সংখ্যালঘুর জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে.সাতগাও গ্রামের হরিচরন দেব ও বিষ্ণুচরন দেব সাতগাও মৌজার ১২১৯ দাগের মোট ১৭ শতক ভুমি মা উজালা বালা দাস ও পিতা গোবিন্দ চন্দ্র দাশের কাছ থেকে ওয়ারিশসুত্রে প্রাপ্ত হন। এরমধ্যে উজালাবালা দাস ১৫ শতক ভূমির মালিক হন ক্রয়সুত্রে। যার ১৯৭৪ সালের ২ রা অক্টোবর সম্পাদিত সাব কাবলা দলিল রয়েছে। এই ১৫ শতক ভূমি তিনি তার দু-পুত্রকে দিয়ে যান। আর বাকী ২ শতক ভূমি হরিচরন ও বিষ্ণুচরন পান তাদের পিতার কাছ থেকে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ১২১৯ দাগের এই ১৭ শতক ভূমি সাতগাও গ্রামের মকবুল মৃধা তার বলে দাবী করে জোর করে সেখানে স্থাপনা নির্মান করেছেন। মকবুল মৃধা যে দলিল বলে এই জায়গার মালিকানা দাবী করছেন সেটি সম্পাদিত হয় ৬৯ সালের ৪ ঠা জুন। কিন্তু হরিচরন দেব ৫৭৬৯ নম্বর এই দলিলটি জাল বলে অভিযোগ করেন। মকবুল মৃধা তার দলিলে সাতগাও গ্রামের মো: খলিলুর রহমানকে (খেলু মিয়া) স্বাক্ষী করেন। খলিলুর রহমান ২০১২ সালের ৩১ শে জুলাই আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বলেন তিনি এই দলিলে স্বাক্ষর করেননি। তিনি কসবা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যাননি। তার নাম বসিয়ে নকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে জাল দলিল করা হয়েছে বলে এফিডেভিটে উল্লেখ করেন মো: খলিলুর রহমান। এদিকে জায়গার মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা হলে আদালতের নির্দেশে বিভিন্ন সময় বিষয়টির তদন্ত হয়। যাতে জায়গার মালিকানা মকবুল মৃধা নয় বলে প্রমান পাওয়া যায়। আদালতের নির্দেশে স্থানীয় চান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান এ এম শামীউল হক চৌধুরী তদন্ত করে আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। চান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান এ এম শামীউল হক চৌধুরী বলেন হরিচরন দেবের অভিযোগগুলো সত্য। মকবুল মৃধা প্রভাবশালী হওয়ায় হরিচরন তার জায়গার দখল পাচ্ছেনা। এদিকে হরিচরনের অন্যান্য দাগের জায়গাও জোর করে দখল করেছে মকবুল গং। অসহায় হরিচরন তার জায়গা ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।