রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমঝোতা স্মারক সই
নির্যাতনের মুখে রাখাইন রাজ্যে থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। তবে চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমার উল্লেখ নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে দেশটির রাষ্ট্রীয় পরামর্শক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সু চির দলীয় কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা কার্যালয়ের মন্ত্রী কিয়াউ তিন্ত সোয়ে চুক্তিতে সই করেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে
তবে কবে নাগাদ তাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে সেই সময়সীমা উল্লেখ না থাকলেও আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের প্রত্যাবসন সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় নেপিদোতে সু চির কার্যালয়ে ৪৫ মিনিটব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকের পর ঢাকা ও নেপিদোর মধ্যে ‘অ্যারেঞ্জমন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পারসন্স ফ্রম রাখাইন স্টেট’ বা ‘রাখাইন রাজ্যের উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেয়ার আয়োজন’ শীর্ষক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মিয়ানমারে কয়েকটি পুলিশি চেকপোস্টে হামলার জেরে ধরে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। নির্যাতন থেকে বাঁচতে ছয় থেকে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের এমন আচরণকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি উদাহরণ’হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।