Main Menu

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড়ো প্রকল্প এখন দৃশ্যমান

+100%-

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের মূল কাজ শুরু হচ্ছে । রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রূপপুর প্রকল্প নির্মাণ এবং বাস্তবায়নকারি প্রতিষ্ঠান এনপিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, সময়সূচি অনুযায়ী রূপপুরে কাজ এগিয়ে চলছে। আর বিশেষজ্ঞের মত, সময় মেনে কাজ শেষ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

 গত নভেম্বরে রূপপুরে যখন প্রথম ইউনিটের মূল কাজ শুরু হয় তখন থেকেই আলোচনা কবে শুরু হবে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ ? তবে নির্ধারিত সময়ের অন্তত তিন মাস আগে শুরু হচ্ছে এই কাজ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, গত বছরের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিং (এফসিপি) ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজের লাইসেন্স মিলেছে।

প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিংয়ের কাজের উদ্বোধন করবেন। এ ব্যাপারে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে রিঅ্যাকট্যার স্থাপনে ভারি যন্ত্রাংশ, উপকরণ, কাঁচামাল সহজে পরিবহনের জন্য ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের টেক পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করা হবে।

তিনি জানান, রূপপুর প্রকল্পের এই রেললাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম ও খুলনা বন্দর থেকে খুব সহজেই রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে।

বিনিয়োগ কিংবা প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড়ো প্রকল্প এখন কিছুটা দৃশ্যমান। বিজ্ঞানমন্ত্রী বলছেন, দ্বিতীয় ইউনিটের মূল কাজ শুরুর মাধ্যমে আরেকটি মাইলফলক অর্জন করবে রূপপুর প্রকল্প।

কারিগরি কিংবা নির্মাণযজ্ঞের দিক থেকে জটিল এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় ধরে এগুচ্ছে প্রকল্পটি। অভিজ্ঞ রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের সাথে তাল মেলাতে হচ্ছে পরমাণু শক্তি কমিশনের অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ একটি দলকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বিশ্বে যেসব পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লির নির্মাণ চলছে তার মধ্যে অর্ধ শতাধিক প্রকল্পেরই মেয়াদ বেড়েছে। ফলে বাড়ছে নির্মাণ ব্যয়ও। যা মাথায় রেখেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে রূপপুরকে।

ধারণা করা হচ্ছে ২০২৩ সালে প্রথম এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সবমিলে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে।






Shares