তীব্র ভূমিকম্পের মুখে দুই বাংলা, মায়ানমার?
আনন্দবাজার :: কলকাতা, বারাসত, কৃষ্ণনগর, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনা সহ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি সুবিশাল এলাকায় অত্যন্ত বড় মাপের ভূমিকম্প হতে পারে। ওই তীব্র ভূকম্পনের কবলে পড়তে পারেন এই সুবিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ২০ কোটি মানুষ। আর সেই ভয়াল ভূমিকম্পটা হতে পারে আগামী ১০ থেকে ১০০ বছর, সর্বাধিক ৫০০ বছরের মধ্যে। তীব্র ভূকম্পনে বদলে যেতে পারে প্রায় ২৪ হাজার বর্গ মাইল এলাকার বিভিন্ন ছোট, বড় ও মাঝারি নদীর গতিপথ। সমুদ্র-লাগোয়া ভূস্তর ধসে বা বসে যাওয়ার ফলে ‘দেবতার গ্রাসে’- সমুদ্রের তলায় চলে যেতে পারে কলকাতা, বারাসত, দুই ২৪ পরগনা সহ বাংলাদেশের একটা সুবিশাল অংশ। নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, শ্রীহট্ট (সিলেট), কুমিল্লা, নোয়াখালি, নারায়ণগঞ্জ, বরিশালও। ভয়াবহ ওই ভূকম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে সর্বাধিক হতে পারে ৮.২ থেকে ৯।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। দিনদু’য়েক আগে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-জিওসায়েন্স’-এ। ভূস্তরের যে ‘সাবডাকশন জোন’-এ এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে, সেই ‘ইন্দো-বার্মিজ আর্ক’ (বা, জোন)-এ অতীতে বহু বার বড় বড় ভূমিকম্প হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াল ভূকম্পনের অন্যতম। ২০০৪ সালে এই ‘জোন’-এই হয়েছিল ভয়াবহ ‘সুনামি’। যার বলি হয়েছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। ২০১১-য় তোহোকু ভূমিকম্প ও জাপানের সুনামিও হয়েছিল এই ‘জোন’-এই। তবে ভূকম্পন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ‘জোন’-এ এত দিন যে ভয়াল ভূমিকম্পগুলো হয়েছে, তার বেশির ভাগই হয়েছে গভীর সমুদ্রের তলায়। তা সে ভারত মহাসাগরই হোক বা বঙ্গোপসাগর। কিন্তু এ বার ওই সুবিস্তীর্ণ এলাকায় ভূকম্পনের আশঙ্কাটা দেখা দিয়েছে মাটিতেই। যা সেই ভূকম্পনের মাত্রা বহু বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে, অনিবার্য ভাবেই। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
এই সেই ভয়াল ভূমিকম্পের সম্ভাব্য এলাকা।
মূল গবেষক কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লামোঁ-দোহার্তি আর্থ অবজারভেটরির বিশিষ্ট ভূপদার্থবিদ মাইকেল স্টেকলার ই-মেলে আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, ‘‘সাবডাকশন জোনের ভূমিকম্প হয় তখনই, যখন সমুদ্রের তলদেশে ভূস্তরের ভারী ভারী প্লেটগুলো সমুদ্রের উপকূল ও তার সংলগ্ন এলাকার অনেক বেশি হালকা প্লেটগুলোর নীচে ধীরে ধীরে ঢুকে যায়। ওই ভারী ভারী প্লেটগুলো অবশ্য সমুদ্রের তলদেশেরও অন্য কোনও কোনও অংশের তলায় ঢুকে যেতে পারে। সেটাও খুব দ্রুত হয় না। আবার কখনও যে প্লেটগুলো নীচে ঢুকে যাবে, সেগুলো তুলনায় হালকা, আশপাশের প্লেটগুলোর গায়ে লেগে থাকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।
তার পর কোনও এক দিন আচমকাই তা ঝুপ্ করে (স্লিপ) অন্য প্লেটগুলোর নীচে ঢুকে যায়। আর তখনই তীব্র ভূকম্পনে কেঁপে ওঠে সুবিশাল একটা এলাকা। এর আগেও এই এলাকা নিয়ে গবেষণা হয়েছে। কিন্তু সে সময় ধারণা ছিল, এই ‘ইন্দো-বার্মিজ আর্ক’-এ যে প্লেটগুলো রয়েছে (ইন্ডিয়ান প্লেট, বার্মিজ স্লিভার প্লেট ও সুন্দা প্লেট), সেগুলো পাশাপাশি সরে যাচ্ছে। আর সেই সরণটা হচ্ছে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে। তার জন্য মাঝে-মধ্যে বড় ভূকম্প হলেও, ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির সম্ভাবনাটা কিছুটা কম থাকে। কিন্তু আমাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওই ‘সাবডাকশন’টা নীচের দিকেও হয়। আমরা এও দেখেছি, ‘ইন্দো-বার্মিজ আর্ক’-এ দু’টি প্লেট- ইন্ডিয়ান প্লেট আর বার্মিজ স্লিভার প্লেটের মধ্যে (ইন্ডিয়ান প্লেটটা বার্মিজ প্লেটের নীচে ঢুকে রয়েছে আর সুন্দা প্লেটটা রয়েছে বার্মিজ প্লেটের পূর্ব দিকে, পাশাপাশি) দীর্ঘ মেয়াদে আপেক্ষিক গতিবেগটা (লং টার্ম রিলেটিভ প্লেট মোশন) স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি। ফি-বছরে গড়ে প্রায় ৪৬ মিলিমিটার বা, ১.৮ ইঞ্চি।
ভূকম্পের কারণ। ইন্ডিয়ান, ইন্দো-বার্মা আর সুন্দা প্লেটের সরণ
(বাঁ দিকের চিত্র) ভূকম্পপ্রবণ এলাকা (হলুদ রং)। প্লেটের সরণ (মোটা কালো দাগ)।
(ডান দিকের চিত্র) কোথায়, কবে হয়েছে ভূকম্পন।
আমরা দেখেছি, এই আপেক্ষিক গতিবেগের দরুন ওই প্লেটগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সঞ্চিত (স্টোরড) হচ্ছে। প্রায় গত ৪০০ বছর ধরেই এটা হয়ে চলেছে। ওই বিপুল শক্তির উদ্গীরণই এক ভয়াল ভূমিকম্পের কারণ হয়ে দাঁড়াবে ওই সুবিস্তীর্ণ এলাকায়। ইট্স অ্যান আন্ডার-অ্যাপ্রিসিয়েটেড হ্যাজার্ড। এর আগে এই ধরনের বড় ভূকম্পন আর তার মাত্রা আঁচ করার মতো কোনও মডেল বা তথ্য-পরিসংখ্যান আমাদের হাতে ছিল না।’’
পক্ষে-বিপক্ষে ভূপদার্থবিদ ও ভূতাত্ত্বিকদের বিভিন্ন মতামত থাকলেও, গবেষণাপত্রটি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে। কেউ কেউ যদিও গবেষণাটির পরীক্ষা-পদ্ধতি নিয়ে জোরালো প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ বা প্রশ্ন তুলেছেন ফিল্ড স্টাডির ক্ষেত্র-বাছাইয়ের পদ্ধতি-প্রকরণ নিয়ে। কারও অভিযোগ, নতুন ‘মডেল’-এ রয়ে গিয়েছে কিছু প্রক্রিয়াগত ত্রুটি-বিচ্যুতি। তার ফলে, মাপজোকে কিছু গরমিলেরও আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
তবে সকলেই মানছেন, গবেষকরা যে এলাকাটিকে তীব্র ভূকম্পনের উৎস-স্থল বলে চিহ্নিত করেছেন, তাতে কোনও ভুলচুক নেই। পদ্ধতি-প্রকরণের ত্রুটি-বিচ্যুতিতে হয়তো সেই ভূকম্পনের মাত্রায় হেলদোল ঘটতে পারে।
খড়্গপুরে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র (আইআইটি) ভূপদার্থবিদ্যার সিনিয়র প্রফেসর, ‘ভাটনগর’ পুরস্কার জয়ী বিজ্ঞানী শঙ্কর কুমার নাথ বলছেন, ‘‘তীব্র ভূকম্পনের সম্ভাবনাময় একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে আমরা বেশ কিছু দিন আগেই মোট ৬টি ভাগে ভাগ করেছিলাম। সেগুলো হল- ১) ‘নর্থ-ইস্ট হিমালয়ান কলিশন জোন’, ২) ‘ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোন’, ৩) ‘ইস্টার্ন হিমালয়ান সিনট্যাক্সিস’, ৪) ‘শিলং উপত্যকা-মিকির হিল জোন’, ৫) ‘বেঙ্গল বেসিন-ত্রিপুরা ফোল্ড থ্রাস্ট বেল্ট’ এবং, ৬) ‘পেনিনসুলার জোন’। এর মধ্যে ‘নর্থ-ইস্ট হিমালয়ান কলিশন জোন’-এ আমরা রিখটার স্কেলে সর্বাধিক ৯ মাত্রার ভূকম্পের পূর্বাভাস দিয়েছিলাম। হিমালয়ের ওই অংশে ইন্ডিয়ান প্লেট অনেক দিন ধরেই ইউরেশীয় প্লেটের নীচে ঢুকে যাচ্ছে। ওই জোনে বিহার-নেপালের মাঝামাঝি জায়গায় ১৯৩৪ সালে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। যার মাত্রা ছিল ৮.১।
রঙে রঙে বোঝানো হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় সম্ভাব্য কম্পনের মাত্রা।
ওই এলাকায় এমন ভূকম্প পরে আরও এক বার হয়েছে। তাতে ওই এলাকার একটা অংশ হারিয়ে গিয়েছে। তার ফলে, উত্তর বিহারের একটা অংশ আগামী দিনে আর থাকবে না। আমাদের পূর্বাভাস ছিল, ‘ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোন’-এ ভূকম্পনের সর্বাধিক মাত্রা রিখটার স্কেলে হবে ৯.২। এই এলাকাটিই বর্তমান গবেষণার ‘স্টাডি ফিল্ড’। গত ২৫ এপ্রিল এই জোনেই হয়েছিল সেই ভয়াবহ মায়ানমার ভূকম্প। তার আগে জানুয়ারিতে কেঁপে উঠেছিল মণিপুর। এই জোনে তীব্র ভূকম্পন হয়েছে বহু বার। ১৯৩৩, ১৯৩৮, ১৯৪৬, ১৯৭৭, ১৯৮৮ আর ১৯৯১-এ। বহু বার এই এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭/৮ মাত্রার কম্পন হয়েছে। ‘ইস্টার্ন হিমালয়ান সিনট্যাক্সিস’ জোনেও রিখটার স্কেলে সর্বাধিক ৯ মাত্রার কম্পনের পূর্বাভাস আগেই করা হয়েছিল। ১৯৫০ (৮.৭) আর ১৯৮২-তে (৭.৮) তার খুব কাছাকাছি মাত্রারই ভূকম্প হয়েছে ওই জোনে। ‘শিলং উপত্যকা-মিকির হিল জোন’-এও সর্বাধিক ৮.৭ মাত্রার কম্পনের পূর্বাভাস ছিল আমাদের। ১৮৯৭ এবং ১৯১৮ সালে তার প্রায় কাছাকাছি মাত্রারই ভূকম্প হয়েছিল ওই জোনে।
যে ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ভূকম্পপ্রবণ এলাকা।
পশ্চিমবঙ্গ যে আরও একটি জোনে পড়ে, সেই ‘বেঙ্গল বেসিন’-এ সর্বাধিক ৬.৮ মাত্রার ভূকম্পনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর সিংভূম শিয়ার জোন, রানিগঞ্জ ফল্ট, ইস্ট ও ওয়েস্ট পটনা ফল্ট আর রাজমহল ফল্ট যেখানে পড়ে, সেই ‘পেনিনসুলার জোন’-এ সর্বাধিক সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ মাত্রার কম্পনের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সুমাত্রায় ‘সুনামি’ ছাড়া ভারতের কোথাও কখনও ৯ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়নি। তাই আমার মতে, এই গবেষণা আমাদের নতুন কিছু জানায়নি।’’
কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনে থাকা ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর সাইসমোলজি’র অধিকর্তা বিনীত গহলৌত অবশ্য বলছেন, ‘‘আমি এটাকে কোনও ভুল বা ত্রুটি-বিচ্যুতি বলব না। হতে পারে, কিছু পরিসংখ্যানের হেরফের হয়েছে। মনে রাখতে হবে, গবেষকরা যে জোনটিকে চিহ্নিত করেছেন, ১৭৬২ সালে ওই অঞ্চলেই ‘বাসুকির মাথা নাড়ানো’র মতো একটি ভয়াল ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে মাপজোকের ক্ষেত্রে গবেষকদের হয়তো আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’’
সাম্প্রতিক গবেষণার পদ্ধতি-প্রকরণে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো কী কী?
রৌরকেলার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র (এনআইটি) ভূতত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক ভাস্কর কুণ্ডুর ব্যাখ্যায়, ‘‘ইন্দো-বার্মিজ আর্ক’ নিয়ে সাম্প্রতিক এই গবেষণায় অন্তত ৪টি বড় ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হল, ওই জোনের দু’টি প্লেটের মধ্যে যে আপেক্ষিক গতিবেগের পরিমাণ (বছরে ৪৬ মিলিমিটার বা, ১.৮ ইঞ্চি) দেখানো হয়েছে, তা স্বাভাবিকের চেয়ে (বছরে ৩৬ মিলিমিটার) অনেক বেশি। যেখানে খোদ উত্তর হিমালয়ে দুই প্লেট ইউরেশীয় ও ইন্ডিয়ানের মধ্যে আপেক্ষিক গতিবেগের পরিমাণ বছরে মাত্র ১৮ থেকে ২২ মিলিমিটার, সেখানে ‘ইন্দো-বার্মিজ আর্ক’-এ ওই গতিবেগের পরিমাণ হঠাৎ কেন অতটা বেড়ে গেল, তার কোনও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা গবেষকরা দিতে পারেননি। দ্বিতীয়ত, বেছে বেছে ভারতে ৩০টি, বাংলাদেশে ১২/১৫টি আর মায়ানমারে গোটা ১২ ‘সাইট’ বাছাই করা হয়েছে ওই নতুন ‘মডেল’ বানাতে। ওই তিনটি দেশে আরও অনেক ‘সাইট’ ছিল। কিন্তু সেগুলোকে ধরা হয়নি। তৃতীয়ত, বাংলাদেশের ‘সাইট’গুলোতে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) যন্ত্র ঠিক জায়গায় বসানো হয়নি। চতুর্থত, ‘ইন্দো-বার্মিজ আর্ক’-এ রয়েছে অনেকগুলো মাইক্রো-জোন। যার গতিপ্রকৃতি দ্বিমাত্রিক ‘ডিসলোকেশন মডেল’ দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়।’’
কেন ওই সম্ভাব্য ভয়াল ভূমিকম্পের সুবিশাল ‘ছায়া’ এড়াতে পারছে না কলকাতা, বারাসত সহ পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশ?
সেই ভয়াবহ ‘ইন্দো-বার্মা রিজিওনে’র একেবারে নাগালেই ‘বেঙ্গল বেসিন’।
বিশিষ্ট ভূপদার্থবিদ শঙ্কর কুমার নাথের ব্যাখ্যায়, ‘‘গবেষকরা যে ‘ইন্দো-বার্মিজ আর্ক’-এ ভয়াবহ ভূকম্পনের জোর সম্ভাবনার কথা বলেছেন, তার মাত্র ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমেই রয়েছে ‘বেঙ্গল বেসিন’। যাকে ভূকম্পের উৎস-স্থলের খুব কাছের জায়গা বা, ‘নিয়ার ফিল্ড রিজিওন’ বলা হয়। আর তার মধ্যেই পড়ে কলকাতা, বারাসত, কৃষ্ণনগর, হাবরা, হুগলি, হাওড়া ও গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর উত্তর ২৪ পরগনার একটা বড় অংশ।’’