‘এমকে-১১ স্নাইপার’ রাইফেল এখন জেএমবির হাতে
ডেস্ক ২৪::আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির কর্তা ব্যক্তিদের বিস্মিত হবার পালা। মার্কিন সেনাদের হাতে ব্যবহৃত আমেরিকার তৈরি ‘এমকে-১১ স্নাইপার’ নামের অত্যাধুনিক অস্ত্রটি চট্টগ্রামে জেএমবির গোপন আস্তানায় কি করে পৌঁছেছে! পুলিশ কর্মকর্তারা আরো বিস্মিত এইজন্যে যে, জঙ্গিদমনে পুলিশ সদর দপ্তরের গোপন নির্দেশনা কী করে জেএমবির ঘাঁটিতে পাওয়া গেল!
পুলিশ দাবি করেছে ‘এমকে-১১ স্নাইপার “ নামে অত্যাধুনিক রাইফেলটি এর আগে বাংলাদেশে উদ্ধার হয়নি এবং ব্যবহারও হয়নি। এ অস্ত্রটি দিয়ে এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নির্দিষ্ট বস্তুকে টার্গেট করা সম্ভব। আর এই অস্ত্রটি আমেরিকার সৈন্যরাই ব্যবহার করে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) বাবুল আক্তার বলেছেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে আমেরিকার সৈন্যরা পাকিস্তানে আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার সময় এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে। বিরল এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রটি বাংলাদেশের জঙ্গিদের হাতে চলে এসেছে। এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আতংকের বিষয়।’
এ ছাড়া হাটহাজারীর আমানবাজারের হাজি ইছহাক ম্যানশন নামে একটি দোতলা ভবন থেকে অভিযান চালিয়ে যেসব গোপন নথিপত্র পেয়েছে তাতে জঙ্গি সদস্যদের ছিনতাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জারি করা একটি স্পর্শকাতর গোপন নির্দেশনাও রয়েছে। এসব নথিপত্র জঙ্গিদের কাছে কিভাবে পৌঁছল তা নিয়ে হতবাক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত চালানো অভিযানে জেএমবির আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি এমকে-১১ স্নাইপার রাইফেল, ২৫০ রাউন্ড গুলি, দুই কেজি জেল এক্সপ্লোসিভ, ১০টি ডেটোনেটর, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, ১৪টি সামরিক পোশাক, নেমপ্লেট ও ব্যাচ, র্যাংক এবং সাংগঠনিক বিভিন্ন নথিপত্র । অভিযানে জেএমবির তিনজন সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়ে।
পুলিশ বলেছে, আমানবাজার এলাকায় যে বাসায় অভিযান চালানো হয় ওই বাসাটি ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেএমবির সামরিক কমান্ডার ফারদিনের আস্তানা এবং বোমা তৈরির কারখানা। আটক ৩ জন জেএমবি সদস্যকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, জেএমবি বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
সূত্র: রেডিও তেহরান