ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি ২০১৭, বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর সভায় মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিনকে এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান, ড. মো. জিল্লুর রহমানকে অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এবং মো. আবদুল মাবুদ, পিপিএমকে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন ১৯৭৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব অর্ডিন্যান্স ও প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় স্মার্ট পরিচয়পত্র প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যানসহ, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে নীতিনির্ধারনী ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওয়ার স্টাডিজ ও ডিফেন্স স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. মো. জিল্লুর রহমান ছত্রিশ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে বিভিন্ন পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর ডাইরেক্টর এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ডাইরেক্টর এবং অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে প্ল্যানিং অ্যান্ড রিসার্চ অফিসার হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম), ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (আইবিবি)-এর এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
মো. আবদুল মাবুদ, পিপিএম বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে দেশের পুলিশ বিভাগে বিভিন্ন পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেন। পেশা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল-২০০০সহ নানা পদকে ভূষিত হন। তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্যান্সার সমিতির আজীবন সদস্য। তিনি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভসহ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।