জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলো..আইনমন্ত্রী
রুবেল আহমেদ : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে শাহ আজিজুর রহমানের মতো একজন কুখ্যাত রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় জাতীয় চার নেতার খুনীদের পুনর্বাসন করেছিলেন । তাদের চাকুরী ও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জাতীর সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিলো আবারো মিনি পাকিস্তান বানানোর জন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন।
শনিবার (১২ আগস্ট) শনিবার বিকেলে কসবা সরকারী পলিটেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে শোকসভায় কলকাতা থেকে ভিডিও কনফেরান্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু বুজতে পারেন এই স্বাধীনতা দিয়ে বাঙ্গালী জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং পাকিস্তানের অধিকাংশ সময় জেল জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। কখনো পাকিস্তানীদের সংগে আপোষ করেননি। তাঁর ডাকে আমরা সশস্র সংগ্রামের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন করেছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানীরা বিশ্ববাসীর চাপে করতে পারেনি।পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট দেশিয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ক্ষমতালিপসু সেনা সদস্যরা তাকে সপরিবারে হত্যা করে তাঁকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো। আইনমন্ত্রী সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে তরান্বিত করবেন।
তিনি বলেন, আমি কসবা-আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকার যুবক যুবতীদের চাকুরী দিয়েছি। আমার আপনারা ছাড়া আর কেউ নেই। মা ,বাবা,ভাই-বোন ,স্ত্রী কেউ দুনিয়াতে নেই। তাই আপনাদের সন্তান হিসাবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সাথে আজীবন থাকতে চাই।
কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ইকতিয়ার আলম রনির পরিচালনায় ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃজাকির হোসেনের সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম.জি হাক্কানী, আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন,জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ন আহবায়ক কাজী মানিক।
অনুষ্ঠানে কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো.সোলেমান খান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিক,অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌসি,অধ্যাপক শাহিন সুলতানা,অধ্যাপক বিলকিস বেগমসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মিলাদ ও মোনাজাত শেষে কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হয়।