কসবার শওকত সৌদি আরবে সড়ক দুঘর্টনায় নিহত,বাড়িতে শোকের মাতম
খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী,কসবা প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শওকত আলম (৩০) বাংলাদেশী শ্রমিক সৌদি আরবে সড়ক দুঘর্টনায় নিহত হয়েছেন। নিহতের লাশ গত ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার বেলতলী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলে পুরো গ্রামে শোকের মাতম চলছে।
নিহত শওকত আলম কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের খলিল আহাম্মদের ছেলে। শওকত আলম ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে সে পঞ্চম।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে; ২০১২ সনের ৩০ জুন সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে চাকুরী করতে যায়। সে শ্রমিকের কাজ করতেন। মাইক্রোবাস যোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে শওকত আলম সহ ছয়জন বাংলাদেশী শ্রমিক এ বছরের ২১ জুন সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের আল-মাজমা এলাকার ৮ নং চেকপোষ্টে মাইক্রোবাসটিকে একটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে শওকত আলমসহ ছয়জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। শওকত আলমে লাশ রিয়াদের একটি হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়।
কাগজপত্র পক্রিয়া শেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বন শুক্রবার সন্ধায় ঢাকার শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে লাশটি গ্রহন করেন নিহতের বড় ভাই জাকারিয়া টেকনিক্যাল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারেক আলম।
এ্যাম্বুলেন্সে করে গত শনিবার ভোররাতে লাশটি গ্রামের বাড়িতে পৌছলে স্বজনদের কান্নার রোল পরে যায় পুরো বাড়িটিতে। শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকায়।
চার বছর বয়সী একমাত্র সন্তান আবিদা সুলতানা বাবার নিথর চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে। বুঝতে পারছেন না তার বাবা চিরবিদায় নিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। স্ত্রী নীলুফা বেগম স্বামীর শোকে কাতর। মা হালিমা বেগম ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে গেছেন। তিনি কোন কথা বলছেন না।
নিহতের বড় ভাই জাকারিয়া টেকনিক্যাল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারেক আলম বলেন; সড়ক দুঘটর্নায় তার ভাই নিহত হয়েছেন। কাগজপত্র সংগ্রহ করতে লাশটি দেশে আনতে সময় লেগেছে। তার সাথের অন্য পাঁচজনের লাশ আরো আগেই দেশে এসেছে।
বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন; নিহতের পরিবার এলাকার একটি স্বনামধন্য পরিবার। ছেলেটিও ভাল ছিল। সড়ক দুঘর্টনায় মারা গেল।