কসবায় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-১০। মোটরসাইকেলসহ ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, এলাকায় উত্তেজনা
এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে উপজেলা পরিষদের বাহিরের সড়কে তুমুল সংর্ঘষ শুরু হলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে মন্ত্রী দুপুর ১২ টার দিকে সভাস্থল ত্যাগ করেন। বক্তব্য প্রদানের আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ,কসবা পৌর মেয়র ,কসবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় ,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়কদের মাঝে স্মাট কার্ড বিতরণ করেন।
এদিকে দুপুর পৌনে ১ টা পর্যন্ত থেমে সংর্ঘষ চলছিল। কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের অফিিসে রাখা মোটর বাইকসহ ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘ এক বছরের মাথায় মন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা আসেন। মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল সর্মথকেরা উপজেলা কমপ্লেক্স এর কাছে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় অপর মেয়র প্রার্থী এম এ আজিজের সমর্থকেরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের সমর্থকেরা দুইদলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে কড়া পুলিশি প্রহরায় মন্ত্রী তার সভাস্থল কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পৌছান। কিন্তু এরই মধ্যে দুই দলের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা করেন। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় । অগ্নিসংযোগ করা হয় দুটি মোটরসাইকেলে। এ সময় সাংবাদিক সহ আহত হন অন্তত ১০ জন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিয়ার শেল এবং লাঠিচার্জ করে দাঙ্গাবাজদের ছত্রভঙ্গ করেন। এদিকে মন্ত্রী সভা থেকে চলে যাওয়ার পর আবারো দাঙ্গাবাজরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় । পরে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ হাসান জানান,আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে, বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের উধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি কিভাবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। আহত কতজন হয়েছ সে সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।