Main Menu

কসবায় কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ

+100%-

কসবা প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হোসনে আরা (১৪) নামে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক মাদ্ররাসা ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হোসনে আরা নিমবাড়ী গ্রামের নাসির মিয়ার মেয়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু প্রতিপক্ষের দাবী নিজেরাই মেরে আমাদের হয়রানী করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে । ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোনাহার আলী ও কসবা থানা ওসি মোঃ রাজু আহাম্মদ।

নিহত হোসনে আরার মা নাদিরা বেগম বলেন, পুর্ব শত্রুতার কারনে বুধবার ভোররাতে নিমবাড়ী গ্রামের মৃত সুদন ভূইয়ার ছেলে রতন মিয়া, মোস্তফা মিয়া ও একই বাড়ির শিবা মিয়া এবং রুবেল মিয়া দরজা ভেংগে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা হোসনে আরাকে ছুরিকাঘাত করে। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায় আক্রমনকারীরা। পরে আহত হোসনেআরাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ একরাম হোসেন তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রতন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, কাবিলের গোষ্ঠির লোকজনদের করা পুর্বের দুটি হত্যা মামলার রায় ঘোষনা হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ১৫ই জানুয়ারি। ওই রায়ে তাদের সাজা হবে জেনে প্রতিপক্ষের কাবিলের গোষ্ঠির সাক্কু মিয়ার নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে দরিদ্র পরিবারটিকে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে এই মেয়েটিকে হত্যা করে নিজেদের সাজা থেকে বাঁচাতে এবং আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মেয়েটি সম্পর্কে ভাতিজি হয়। তাকে মারতে যাবো কেনো। আমাদের বিরুদ্ধে এটি পরিকল্পিত সাজানো ঘটনা।

কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহাম্মেদ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘবছর ধরে নিমবাড়ী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারে জমসেদ ভ’ইয়ার নেতৃত্বে কাবিলের গোষ্ঠি ও সুদন ভূইয়ার নেতৃত্বে পান্ডবের গোষ্ঠির মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই দ্বন্দের জেরে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর পান্ডবের গোষ্ঠির রহিজ মিয়া ও ২০২১ সালের ১৩ মার্চ রহিজের বড় ভাই ফায়েজ মিয়া কাবিলের গোষ্ঠির লোকজনের হাতে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। ওই ঘটনায় রহিজ হত্যার রায় হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ১৫ই জানুয়ারি। ওই রায়ের মোড় ঘোরাতেই এই মেয়েটিকে হত্যা করে পান্ডবের গোষ্ঠির লোকজনকে বাড়িছাড়া রাখতে পরিকল্পনা বলে দাবী অভিযুক্তদের।






Shares