Main Menu

কসবায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৭জনের বিরুদ্ধে দূনীতি দমন কমিশনের মামলা

+100%-

খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, প্রতিনিধি, কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া::  ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শিক্ষা সদন বায়েক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের অনুকুলে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার(কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় ১৭.০০০ মেঃ টন গম আত্বসাত করার দায়ে বায়েক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল হক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দূনীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলা দায়ের করা হয়েছে।  (কসবা থানা মামলা নং ৪৩)।

গত ২৪ ডিসেম্বর (২০১৪ ইং) বুধবার রাতে দূনীতি দমন কমিশন সম্মলিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ হুমায়ন কবীর বাদী হয়ে কসবা থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় সৈয়দ আরিফুল হক কসবা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা,বায়েক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল হক ও প্রকল্প চেয়ারম্যান,সহিত মিয়া,প্রকল্প সেক্রেটারী,মোঃ ফুল মিয়া প্রকল্প সদস্য,অন্যান্য সদস্যরা হলেন নারগিস আক্তার,মোঃআক্তার জ্জামান,মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।  
উপরোক্ত প্রকল্পের চেয়ারম্যান,কর্মকর্তা,সেক্রেটারী ও সদস্যরো পরস্পর যোগসাজসে সরকারী ১৯২,০৫৪ টাকা আত্বসাতের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে দঃ বিঃ ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দূনীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ্য করেন।
বিগত ২০০৯-১০অর্থ বৎসরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার(কাবিখা)কর্মসূচির আওতায় অনুমোদিত দ্বিতীয় পর্যায়ে কসবা উপজেলা শিক্ষা সদন বায়েক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট প্রকল্পের অনুকুলে ১৭.০০০ মেঃ টন গম বরাদ্ধ প্রদান করা হয়। উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোঃ মনিরুল হক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কসবা বরাবর প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেন। গত ২৬মে ২০১০ ইং তারিখে স্বাক্ষর করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি অনুমোদন করা হয়।
অনুসন্ধান কালে রেকর্ড পত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে,উক্ত প্রকল্প অনুমোদনের দিন অথাৎ ২৬/৫/২০১০ ইং তারিখ ১ম কিস্তিতে ৪.২৫০ মেঃ টন গম,০১/৬/২০১০ ইং তারিখ ২য় কিস্তিতে ৪.২৫০ মেঃ টন,১৬/৬/২০১০ ইং তাডিরখ ৩য় কিস্তিতে ৪.২৫০ মেঃ টন এবং ২৭/৬/২০১০ ইং তারিখ ৪র্থ ও শেষ কিস্তিতে ৪.২৫০ মেঃ টন টন সহ চার কিস্তিতে সর্বমোট ১৭.০০০ মেঃ টন গম উওোলন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
পরস্পর যোগসাজসে সরকারী ১৯২,০৫৪ টাকা আত্বসাত করায় দঃ বিঃ ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দূনীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ মিজানুর রহমান জানান  শিক্ষা সদন বায়েক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট  প্রকল্পের (কাবিখা) গম  আত্বসাত করার অভিযোগ এনে বায়েক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল হকসহ ৭ জনকে আসামী করে দূনীতি দমন কমিশন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের স্বীকার করেছেন। তবে মামলাাটি তদন্ত করবেন দূনীতি দমন কমিশন বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান।     






Shares