Main Menu

হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন কসবা পৌর মেয়র ও বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া

+100%-

খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী,কসবা প্রতিনিধি ::বাংলাদেশ হাই কোর্ট বিভাগের (উচ্চ আদালত) একটি ব্যঞ্চ থেকে ১ ডিসেম্বর সোমবার  কসবা পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াছ দ্রুত বিচার আইনে মামলার আসামী জামিন পেয়েছেন। একই  সাথে মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া  উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার বিষয়টি এই প্রতিনিধিকে তাঁর মোবাইল  ফোনে নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে,কসবা পৌর মেয়র ও কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া(৫০) পিতা মৃতঃআব্দুল খালেক ও ছোট ভাই জাহাঙ্গীর মিয়া(৩৫) সর্ব সাং খাড়পাড়া,কসবা সহ ৯জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে কসবা থানায় গত ২৮ নভেম্বর রাতে মামলা দায়ের হয়েছে । একই গ্রামের গেদু মিয়া(৪২) পিতা-আব্দুল রহিম(মানিক মিয়া) মামলাটি বাদি হয়ে করেছিল। মামলার বাদী তাঁর এজাহারে  গত ২৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ৭টায় কসবা পৌর মেয়র ও কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়ার হুকৃমে  উপরোক্ত আসামীরা পরিকল্পিত ভাবে লাঠি,সোট,ছেনী,কিরিজসহ লোহার রড নিয়ে গেদু মিয়ার বাড়ি ঘর,দরজা,কুপিয়া ভাংচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করেন।বাদি গেদু মিয়ার সুকেছের গ্লাস ভেংগে নগদ ৩২ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে মামলার অভিযোগে প্রকাশ।
এই নিয়ে এলাকায় থমথমভাব বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরণের অঘটন ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান। বাদি গেদু মিয়া জানান, বিবাদি মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া বিষয়টি নিরসরণ করার কথা বলে তাঁরই হুকুমে এই হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করেছেন। এই দিকে কসবা পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া জানান একজন মেয়রের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা থানায় এফআইআর করার বিষয়টি আমাকেসহ এলাকার মানুষকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এই দিকে কসবা পৌর কাউন্সিলর কামাল সরকার জানান এই বিষয়টি মিমাংসা কল্পে  কসবা পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইইলয়াছ মিয়া  সাবেক মেম্বার আতিকুল ইসলাম বাবলু কে আহবায়ক ও ইদন মিয়াকে যুগ্ম আহবায়ক করে পৌর কাউন্সিলর আবু জাহের,জাহাঙ্গীর আলম কাউন্সিল,হাজী জসীম উদ্দিন আহাম্মেদ সহ আমাকে কমিটি কর্ ে(২৯নভেম্বর)শনিবার সকালে এক শালিশী বসে শেষ করার  দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্ত  শালিশি বসার কথা মেনে গিয়ে গেদু মিয়া গত শুক্রবার ২৮ নভেম্বর রাতে সুপরিকল্পিত ভাবে মেয়রকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করার বিষয়টি আমাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কসবা থানা ৬২ নং মামলাটি তদন্ত করছেন উপ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মজিবুর রহমান(৩) ।
হাই কোর্ট বিভাগ(উচ্চ আদালত) থেকে জাবিন পেয়ে মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। তবে উচ্চ আদালত থেকে সুবিচার পেয়েছেন এবং মেয়াদ কালেই নিম্ম আদালতে হাজির হওয়ার কথা জানান তিনি।






Shares