ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গণপিটুনিতে সায়েম মিয়া ওরফে সাইম্যা ডাকাত (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্মপুর-তালতলা সড়কে তাঁকে পিটুনি দেয় গ্রামবাসী। পুলিশ জানায়, সায়েম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, পুলিশকে মারধরসহ কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় আট-দশটি মামলা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রতি রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এবং কসবা-আখাউড়া সড়কে ডাকাতি করে সায়েমের নেতৃত্বাধীন সাইম্যা বাহিনী। ৪ এপ্রিল ধর্মপুর স্কুল মাঠ এলাকা থেকে সাইদুল নামের ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে কসবা থানা-পুলিশ। তাত্ক্ষণিক সায়েম ও তাঁর সহযোগীরা উপপরিদর্শক কৃষ্ণ লাল ঘোষকে পিটিয়ে সাইদুলকে ছিনিয়ে নেন। গতকাল দুপুরেও সায়েম ধর্মপুর এলাকায় এসে লোকজনের ওপর হামলা চালায়। প্রায়ই এ ধরনের হামলায় অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে সন্ধ্যায় ধর্মপুর-তালতলা সড়কে সায়েমকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে গুরুতর অবস্থায় কসবা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে নয়টায় পুলিশ হেফাজতে চিকিত্সাধীন অবস্থায় সায়েম মারা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার আদিত্য জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। |