স্থগিত হওয়া কুটি ইউপি নির্বাচন রোববার
রুবেল আহমেদ ॥ কসবায় রোববার (২৬ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ১১টি কেন্দ্রে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। শনিবার ২৫ মে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নির্বাচনী সরঞ্জামাদী নিয়ে কেন্দ্রে পৌছে গেছেন। নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ১১টি কেন্দ্রকেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে কাজ করছেন নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ দায়িত্ব পালন করবেন তিন শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহীনির লোকজন।
প্রসংগত, গত ২৮ এপ্রিল কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে ৯জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ চলছিল। বিপত্তি বাধে ইউসুফ আহম্মেদ নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপারে প্রতীক ভূল ছাপা নিয়ে। তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার প্রতীক ভুল ছাপা দেখতে পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন তাকে প্রতীক দেয়া হয়েছে ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা কিন্তু ব্যালটে ছাপা হয়েছে প্যাডেল রিক্সা প্রতীক।
এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। পরে তার অভিযোগটি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করেন। বেলা আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কুটি ইউনিয়ন পরিষদের শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়নি। ওই দুই পদের নির্বাচন যথারিতি সম্পন্ন হয়। এতে নয়জন ইউপি সদস্য এবং তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়। গত ৭ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত এক আদেশে কসবার কুটি ইউপি শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদের স্থগিতকৃত নির্বাচনের পরবর্তী তারিখ ঘোষনা করেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. মোস্তাক আহাম্মদ, মো. ফারুক ইসলাম, মো. শরীফ সরকার, ইউসুফ আহমাদ, মো, সানু মিয়া, মো. শাহজাহান ভূইয়া, মো. আফতাব উদ্দিন নাছির ও মো. জাকির হোসেন।
ওই ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪শ ৩৫জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৭শ ৭৬জন এবং মহিলা ভোটার ১৫ হাজার ৬শ ৫৯জন।
কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদের স্থগিত হওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রত্যেকটিই ঝুকিপূর্ন হিসাবে আমরা কাজ করছি। নির্বাচনী মালামাল ও সরঞ্জামাদী পাঠানো হয়েছে। ব্যালেট পেপার সকালে পৌছানো হবে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৬জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট, তিন শতাধিক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।