Main Menu

বিদেশীরা নয়, জনগণই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে….আইনমন্ত্রী

+100%-

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগনই তাদের ভাগ্য নির্ধারন করবেন, বিদেশীরা নয়। শুনেছি কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাছে নালিশ করেন তাদের তদারকি ছাড়া নাকি বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। বিদেশীরা এসে কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন এটা দুঃস্বপ্ন। জনগনই তাদের পরবর্তী নেতা নির্বাচন করবেন। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কসবা তফজ্জল আলী (টি.আলী) ডিগ্রী কলেজ মাঠে এবি (আরব-বাংলাদেশ) ব্যাংকের সহায়তায় এলাকার ১৮ শত কৃষক-কৃষানীর মাঝে কৃষিঋন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বৃক্ততায় এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো এদেশের কৃষকের মুখে হাসি ফুটানো। খাদ্যে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ন করা। আজ তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বনির্ভর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও কৃষি কাজ করেন। আমি নিজেও কৃষি কাজ করি তাই আমরা কৃষকের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানি। করোনা মহামারিতে আমাদের দেশের মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারপর ইউক্রেনÑরাশিয়া যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। আমরা বাজার নিয়ন্ত্রনে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। এরপরও আমরা অন্যান্যদের তুলনায় ভালো আছি।

মন্ত্রী বলেন ,সরকার উন্নয়নের জন্য প্রথমেই বিদ্যুৎ খাতকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে বিদ্যুতের নাজুক পরিস্থিতি কাটিয়ে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছেন। এখন প্রতিটি কৃষকের পরিবারে বিদ্যুৎ আছে। সরকার ইরি বোরো চাষে কৃষকদের সেচ ও অন্যান্য সুবিধায় প্রণোদনা দিচ্ছে। এক কথায় শেখ হাসিনার সরকার কৃষকবান্ধব সরকার।

এবি ব্যংকের প্রেসিডেন্ট তারেক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন,কসবা পৌর মেয়র এম.জি হাক্কানী,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আমিমুল এহসান খান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, সহকারি পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) দেলোয়ার হোসেন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

পরে মন্ত্রী এবি ব্যাংকের সহায়তায় জেলা ও উপজেলা মিলিয়ে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ১৮ শত কৃষক-কৃষানীর মাঝে ১০ কোটি টাকা কৃষিঋন বিতরন করেন।






Shares