Main Menu

কসবায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হত্যার হুমকি

বায়েক ইউপি সচিব সাজুসহ ৪জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ

+100%-

কসবা প্রতিনিধি :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পোষ্ট মাষ্টার মরহুম জহিরুল আলম মিলনের পরিবারকে মিথ্যা মামলা, হামলা দিয়ে হয়রানিসহ হত্যার করার হুমকি প্রদানের অভিযোগে একই পাড়ার আবু হাসান সাজু ( ৫৫) গংদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি দায়ের করা হয়। পেনাল কোড আইনের ৪২৭/ ৫০৬ ধারায় অপরাধ প্রমাণে বিজ্ঞ আদালতে সাজুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কসবা থানার পুলিশ।

ঘটনা প্রকাশ যে, গত ২০ নভেম্বর ২০১৭ইং কসবা উপজেলার কসবা পশ্চিম ইউপির আকছিনা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জহিরুল আলম মিলনের স্ত্রী মোছা: ফাতেমা বেগম (৫৫) একই পাড়ার আবু হাসান সাজু সহ ৪ জনকে বিবাদী করে একটি সাধারণ ডাইরী দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো: মুজিবুর রহমান-৩ অভিযোগটি তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করিলে তাহা অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে স্বারক নং-১৮৪৭(৩),তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৭ইং মূলে কসবা থানার সাধারণ ডাইরী নং-১০১৫,তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৭ইং সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণকে জিজ্ঞাসাবাদে সততা প্রমাণে ও সামাজিক বিরোধ চলা আসা কালে সাজুসহ বিবাদীরা বাদী পক্ষদ্বয়কে বিভিন্ন ধরনের খুন জখম করার হুমকি প্রদর্শন করেন।
ডায়রী সূত্রে প্রকাশ ,ইতি পূর্বে বিবাদী আবু হাসান সাজু, পিতা- মৃত আবু তালেব (ধনু) কসবা উপজেলা বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের একজন সচিব হয়ে নিজেকে সচিব পরিচয় দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কসবা-নয়নপুর সদর রোডে আব্দুল মোতালিব নামে রাস্তার ফলক সহ ঐ ফলকের অপর পাশে নিজেকে শুধু সচিব পরিচয় দিয়ে নামের ফলক স্থাপন করেন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করিলে ফলকটি ভেংগে এনে মুচলিকা গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম। স্থানীয় প্রশাসন ফলক ভেংগে নিয়ে আসায় ক্ষিপ্ত হইয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আশরাফুল আলম জয়কে গত ১৪ নভেম্বর ২০১৭ইং বায়েক রাস্তায় প্রকাশ্য হত্যার হুমকি প্রদান করেন।
আবু হাসান সাজু গংদের অত্যাচারের বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল আলম মিলনের পরিবারের সদস্যরা জান মালের নিরাপওা হীনতায় ভুগছে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ফাতেমা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানান। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর বায়েক ইউপি সচিব আবু হাছান সাজুকে অন্য উপজেলায় বদলি না করা হলে তাহার দ্বারা যে কোনো সময় বড় ধরণের অঘটন ঘটাইতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান। তার বদলির বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন সুদৃষ্টি দিয়ে বায়েক ইউপির সচিব সাজুর কবল থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে রক্ষার জন্য জোর দাবী করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের সদস্যরা।

ইতি পূর্বে এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টুয়েন্টিফোরডটকমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।






Shares