বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানীদের সঙ্গে কখনো আপোষ করেননি…আইনমন্ত্রী
রুবেল আহমেদ : আইনমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা যায় না। এর কারন তিনি বুজতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতীর মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের তেরো বছরেরও অধিক সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো পাকিস্তানীদের সংগে আপোষ করেননি।
বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফেরান্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানীরা নিরীহ বাঙ্গালীর উপর বর্বোরোচিত হামলা করলে তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন। বাঙ্গালী জাতি তাঁর ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানীরা বিশ্ববাসীর চাপে করতে পারেনি। পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে তাঁকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো।তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিলো দেশটাকে আবারো পাকিস্তান বানানোর জন্য।সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে তরান্বিত করবেন।
তিনি বলেন, আমি কসবা আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকার যুবক যুবতীদের চাকুরী দিয়েছি। তাই আপনাদের সন্তান হিসাবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সাথে থাকতে চাই।
কুটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহম্মদের পরিচালনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে শোকসভায় সভায় বক্তব্য রাখেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন,কসবা পৌর মেয়র এম.জি হাক্কানী,আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ,কাজী আজহারুল ইসলাম,এমরান উদ্দিন জুয়েল,মনির হোসেন ,শামিম আহম্মেদ,বাহাদুর আলম প্রমুখ। পরে মিলাদ ও মোনাজাত করা হয়।