ঘরে সাড়ে ৭ মাসের শিশু, তবুও বিরামহীন কসবার এসিল্যান্ড হাসিবা




জনসাধারণের জরুরি সেবার জন্য তিনি সরকারি নাম্বারের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত নাম্বারটি ২৪ ঘণ্টা খোলা রেখেছেন। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও মানুষজনকে সচেতন করতে কসবা উপজেলা জুড়ে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করে চলেছেন । তথ্য জানতে চাইলে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকলেও তথ্য প্রদানে সহযোগিতা করার বিষয়টি যেন বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের কাছে।করোনাভাইরাস মহামারির পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেয়ার ফলে সাধারণ মানুষ, মিডিয়াকর্মী, শিক্ষিত সমাজ, সহকর্মীদের প্রশংসায় এক জীবনযোদ্ধা বীর নারীর নাম হাসিবা খান।
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এই কথাটি কসবাবাসী বুঝতে পেরেছে হাসিবা খানের নিরলস পরিশ্রম আর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে।
জনগণের কাছে গিয়ে সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার মননশীলতার মাধ্যমে উপস্থাপন করে চলেছেন। শিশু সন্তান বাসায় রেখে, কর্মস্থলে সাধারণ মানুষের জন্য তার এই জীবন বাজি রাখার যুদ্ধ প্রশংসনীয় দাবিদার বলে সারা কসবা সহ মিডিয়াতে আওয়াজ উঠেছে।
জেলার কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সুনামধন্য জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ উল আলমের সঠিক নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন হাসিবা খান। তার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফসল হিসেবে কসবা উপজেলাবাসী এখন করোনাসহ সকল বিষয়ে অধিক সচেতন।
স্বামী দায়িত্ববান পুলিশ অফিসার। সততা আর আর্দশকে পূজি করে করোনা নামক আরেক মহাযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে মানুষের সেবাদানে কাজ করছেন তিনি। পুলিশে কর্মরত বিধায় তিনি আছেন নিজ দায়িত্বে। একই ঘরে স্বামী-স্ত্রী যেন জীবন যুদ্ধে দুই বীর সৈনিক।
এই ব্যাপারে কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান কসবা উপজেলা সাংবাদিক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া২৪ ডট কমকে জানান, আসলে চাকরি বলেই নয়, মানবিক কারণে মানবতার সেবায় জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও করোনাযুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি।
সাড়ে সাত মাস বয়সী মেয়ে আনাবিয়া-নূরকে অনেক মিস করি। এখন আর আগের মতো সময় দেয়া হয় না তাকে। ভাগ্যিস আমার ছোট বোন ইসরাত জাহান বাসায় আছেন। তার কাছে সন্তান রেখে আমি মানুষকে সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার কারণে তারা আক্রান্ত হন কি-না সেই ভয়েও থাকি। বাসায় তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করি- এটা যে কত কষ্টের ও বেদনাদায়ক তা বুঝানো যাবে না। মানুষকে সেবদানে কিছুটা উপকারে আসতে পারাটা হাজারে কষ্ট বেদনাকে ভুলিয়ে দেয়। আশায় বুক বাঁধি- এ দুর্যোগ তো আল্লাহ্র অশেষ রহমতে স্থায়ী হবে না। করোনা তো একদিন পরাস্ত হবেই হবে। মানুষে মুখে হাসি ফুটে উঠবে।আর আমরা করবো করোনাকে জয়।
« কসবায় গণমাধ্যমকর্মীদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হবে (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) কসবায় ঘরে ঘরে ছুটছেন ত্রাণ ফেরিওয়ালা জীবন »