সরকারের অর্জিত সফলতা ও উন্নয়ন ভাবনা এবং ভিশনঃ ২০২১ এর লক্ষ্য অর্জন বিষয়ে জনগণকে অবহিতকরণ এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততার লক্ষ্যে
কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ সমূহের ব্র্যান্ডিং , বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের অর্জিত সফলতা ও উন্নয়ন ভাবনা, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য সমূহ (এস ডি জি), ভিশনঃ ২০২১ এর লক্ষ্য ও অর্জনসমূহ এবং সন্ত্রাসও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে হাসিনা ইসলাম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,কসবা এর সভাপতিত্বে উপস্থিত প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যে প্রদান করেন মোঃ আনিসুল হক ভ’ঞা এডভোকেট, চেয়ারম্যান,উপজেলা পরিষদ,কসবা,তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার অঙ্গীকার নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। তৃতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তি,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রধিকার প্রদান করে।একইসাথে জনগনের দোড়গোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছানো,নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো,পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।তিনি আরো বলেন গণমাধ্যম,রাজনীতিবিদ,কূটনীতিবিদ,বুদ্ধিজীবী,আইনজীবী,সমাজকর্মী,সমাজবিজ্ঞানী,অর্থনীতিবিদসহ সকল শ্রেণীর মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণপূর্বক দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহীন সুলতানা,ভাইস চেয়ারম্যান,উপজেলা পরিষদ কসবা ,মোঃ সোলেমান খান,সভাপতি,কসবা প্রেস ক্লাব,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ সময় স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিতসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা তথ্য অফিসার, দীপক চন্দ্র দাস উক্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং বলেন,রুপকল্পের বাংলাদশ একটি অসাম্প্রদায়িক,প্রগতিশীল ও উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন। যেখানে নিশ্চিত হবে সামাজিক ন্যায়বিচার , নারীর অধিকার ও সুযোগের সমতা, আয়-ব্যয় ও দারিদ্র্য নেমে আসবে ন্যূনতম পর্যায়ে, সবার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত হবে, ব্যাপকভাবে বিকশিত হবে মানুষের সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে, হ্রাস পাবে সামিাজিক বৈষম্য, প্রতিষ্ঠা পাবে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলার সক্ষমতা । তথ্য প্রযুক্তিতে বিকশিত হয়ে সেই বাংলাদশ পরিচিত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে।
সভাপতি হাসিনা ইসলাম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,কসবা বক্তব্যে বলেন, – সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় সাফল্যের পর ২০১৬ সাল থেকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে দেশ।জাতিসংঘের ভাষ্যমতে,এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ অনুকরনীয় দৃষ্টানত স্থাাপন করেছে। বাংলাদেশকে বলা হয় এমডিজির ’রোল মডেল’ । তিনি এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং দেশ ও জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেন এবং অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।প্রেস রিলিজ