কসবায় রেল দুর্ঘটনায় ৫ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিলো রেলওয়ে



রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এমপি আজ রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে ২০১৯ সালে ব্রাহ্মবাড়িয়ার মন্দবাগে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারের হাতে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন।।এ দিকে হবিগঞ্জের ৩ জনের ওয়ারিশ নিয়ে জটিলতা থাকায় তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি।
এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জন হবিগঞ্জের, ৪ জন চাঁদপুরের ও ১ জন নোয়াখালীর।
এর মধ্যে হবিগঞ্জের ৩ জনের ওয়ারিশ নিয়ে জটিলতা থাকায় কেউ চেক নিতে আসেননি। যারা আজ আসেননি তাদের চেক হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বাকিরা চেক গ্রহণ করবেন।
চেক হস্তান্তরের আগে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এ দুর্ঘটনায় যারা আহত ও নিহত হয়েছেন সে ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।রেলের পক্ষ থেকে আমরা সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর রেখেছিলাম। কারণ রেলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছিলো। সে জন্য আমাদের দায় ছিলো।রেলে আরো অনেক দুর্ঘটনা ঘটে তবে সবগুলো আমাদের কারণে হয় না, মানুষের ভুলেও হয়। তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার পর চিকিৎসার জন্য আমরা প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করেছি।চিকিৎসারত অবস্থায় তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করেছি এবং যেসব হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিয়েছে সেসব হাসপাতাল কেউ তাদের বিষয়টি ভালোভাবে দেখার জন্য বলা হয়েছিল।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো, শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান সহ রেলের আরো ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর রাত পৌনে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ১৭ জন নিহত হয় ও ৫৭ জন আহত হয়।