কসবায় বন্যা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি:: জমির ফসল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, চারার অভাবে কৃষক দিশেহারা
কসবা প্রতিনিধি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : বৃষ্টি বন্ধ হওয়া এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের প্রবাহ কমে আসায় পানি নামতে শুরু করেছে। ফলে গত কয়েক দিন যাবৎ কসবার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
তবে জমি লাগানো ধান ক্ষয়ক্ষতি মোটেও কমেনি। চড়া দামে কুমিল্লার বিভিন্ন বীজ তলা থেকে ধানের চারা কিনে এনে জমিতে ধান রোপন করছেন কৃষকরা। চারার অভাবে প্রায় জমি খালি থাকার কথা জানান; বায়েক ইউনিয়নের বন্যা কবলিত দ:মাদলা ও খাদলা এবং বেলতী,পুটিয়া শ্যামপুর গ্রামের কৃষকরা। ১৯ আগষ্ট শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে উজানের ঢলে শত শত কানি ফসলি জমি ডুবে গেছে। এমনকি বীজ তলাও পানি ওঠে ক্ষতিসাধন করেছে।
বায়েকের বেলতলির ফারুক মিয়া আর বিদ্যানগরের সোহেল রানা জানান; দুই অটো দিয়ে ধানের বীজের চারা ৬ হাজার টাকা আর অটো ভাড়া ১ হাজার টাকা পড়েছে। তাও আবার বীজ চারা পাওয়া যাচ্ছে না। এক দিকে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ অপর দিকে বীজের চারার অভাবে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে উঠেছে। আর জমি রোপন করতে না পারলে আগামীতে না খেয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকতে হবে বলে কৃষকরা সাংবাদিক খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালীকে জানান।