কসবায় দুটি কূপে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে



কসবা উপজেলায় দুটি অনুসন্ধানী গ্যাস কূপের খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কূপ দুটিতে গ্যাসের কিছুটা উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) কর্মকর্তারা।
সোমবার কথা হয় প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে কূপ দুটির পরীক্ষণ কার্যক্রম।
মিজানুর রহমান জানান, কসবা-১ গ্যাসক্ষেত্রের ড্রিলিংপাইপ মাটির তলদেশের দুই হাজার ৯৭৫ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। অন্যদিকে, সালদা নর্থ কূপের ড্রিলিং মাটির দুই হাজার ৮১৫ মিটার তলদেশ পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। এর পরই কূপ দুটির খননকাজ শেষ করা হয়।
বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, দুটি গ্যাস কূপেই গ্যাসের কিছুটা উপস্থিতি মিলেছে। তবে পরীক্ষণ কার্যক্রম শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। মাটির তলদেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নমুনা নেওয়ার পরই অনুসন্ধানী কূপে গ্যাসের উপস্থিতি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরীক্ষণ কাজ শেষ হতে এক মাস সময় লাগবে বলেও তাঁরা জানান।
সরকারের রূপকল্প ৩-এর আওতায় কসবা-১, মাদারগঞ্জ, জামালপুর ও শৈলকুপায় অনুসন্ধান কূপ খননকাজ করে বাপেক্স। এতে ব্যয় হবে ৪০০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
কসবা পৌরসভায় গত ২৭ এপ্রিল অনুসন্ধান কূপের কমিশনিং কাজ শুরু হয়। ১ মে থেকে ড্রিলিং কাজ শুরু হয়। বাপেক্স নিজস্ব জনবল ও রিগ ব্যবহার করে এ কাজটি শুরু করে।
কসবা-১ নম্বর কূপে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। কূপটি প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জায়গা জুড়ে। অন্যদিকে, সালদা নর্থ গ্যাস কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।