কসবায় গ্রেফতারকৃত ৫ ডাকাত ছাড়, আবার আটক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তোলপাড়



খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, কসবা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার নোয়াপাড়া গ্রামের রবিউল্লাহ’র বাড়িতে ডাকাতি কালে গ্রামবাসী দৌড়িয়ে ৫ ডাকাত সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করার পর প্রায় ১২ ঘন্টা পর থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৮ ঘন্টা পর আবার তাদেরকে গ্রেফতার করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সারা কসবায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর বৃহম্পতিবার দিবাগত রাত্রি প্রায় ১টা ১০ মিনিটে কসবা পৌরসভাধীন নোয়াপাড়া গ্রামের রবিউল্লার বাড়িতে একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে বাড়ির লোকজনের হাত বেধে ফেলে। বাড়ির মলিক রবিউল্লাহ জানান, প্রথমই তাকে অস্ত্রের মুখে হাত বেধে ফেলে দেয়। বাড়ির বাকি লোকজনকে হাত বেঁধে ফেলে ষ্টীলের আলমারী,সুইকেস ভেঙ্গে ডাকাত দলের সদস্যরা স্বর্ণ-লংকার নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক রবিউল্লা আরো জানান প্রায় ১০ বড়ি স্বর্ণ,নগদ ৮/৯ লাখ টাকা, ৫টা মোইলসহ মোট ১৪/১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ১২ ডাকাত দলের মধ্যে ৫ ডাকাত সদস্যকে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেন। আটকরা হলেন-একলাছ (৩৫) পিতা-শরবত আলী, আ:হাশেম (৪৫) পিতা-মৃত্যু আ: কাদের,মো:ইয়াকুব আলী (২০) পিতা-এখলাছ উদ্দিন,আইয়ুবুল ইসলাম (৩০) পিতা- আ:কুদ্দুছ সর্ব সাং বুজির কান্দি,ময়মনসিংহ অপর জন কসবা উপজেলা বিনাউটি ইউপির গাভবাড়ি গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার পুত্র মো: রবিউল্লা (২০)। অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ২৭ অক্টোবর সকালে সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছুটে যান থানায়। কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শুক্রবার সকালে থানা হাজতে ৫ জনকে আটক রাখার কথা স্বীকার করেন।
এই সময় পৌর কাউন্সিলর আবু জাহের, আবুল ভুইয়াসহ প্রমুখের সামনে বাড়ির মালিক রবিউল্লা তার বাড়ির ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা প্রদান করেন। কসবা থানা ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, রবিউল্লাহকে এজাহার প্রদান করার জন্য। সেই মোতাবেক রবিউল্লাহ বাদী হয়ে থানা হাজতে থাকা ৫জনসহ মোট ৭ জনকে আসামী করে এজাহার প্রদান করেন। কিন্ত ঐদিনই প্রায় ১২ ঘন্টা পর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ডাকাতি ঘটনার সাথে (আটককৃতরা) জড়িত প্রমাণ না হওয়ায় তাদেরকে স্হানীয় এক রাজনৈতিক নেতার জামিন নামায় ছেড়ে দেন।
এই ঘটনাটি মিডিয়া প্রকাশের পর এলাকায় সচেতনমহলের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হলে বিষয়টি আইনমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া ঐ ৫ ডাকাত সদস্যকে কসবা থানার ওসি অবশেষে ২৮ অক্টোবর দুপুরে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছেন।
ইদানিং কসবায় ডাকাতের উপদ্রব্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি গ্রামের মানুষ ডাকাত আতস্কে দিশেহারা হয়ে উঠেছে বলে সচেতনমহল অভিমত প্রকাশ করেছেন। ১দিন আগে ছেড়ে দেওয়া ডাকাত সদস্যদেরকে আবার ১দিন পর ২৮ অক্টোবর পুনরায় উপরোক্ত ৫ ডাকাত সদস্যকে প্রেফতার করেন।
পূর্বের খবর