কসবার মেহারী ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত হতদরিদ্রদের উপহার তালিকায় চেয়ারম্যান পরিবারের নাম
কসবা প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়ার বিরুদ্ধে ওঠেছে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত -হতদরিদ্রদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত আড়াই হাজার টাকার তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যান আলম তার ছেলেসহ পরিবার এবং নিকটাত্মীয়দের নাম অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ ওঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতদরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে অন্তত ৫০ লাখ পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা করে দিচ্ছেন।
আর এজন্য জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষক এবং সমাজের গণমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি উপজেলার ৭৫ হাজার পরিবারকে দেয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এই ঈদ উপহার।
জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়ার বিরুদ্ধে তালিকা তৈরিতে ওঠে ব্যাপক অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। মেহারী ইউনিয়নের ৫৮৮ জনের তালিকায় চেয়ারম্যান আলম মিয়া তার নিজের ছেলেসহ নিকটাত্মীয়দের নাম অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ ওঠে।
তালিকায় চেযারম্যানের পুত্র মো. আরাফাত আলমের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তালিকায় ছেলের নাম সহ মোবাইল নম্বর আছে। তবে আমার গ্রামের চাচাত ভাই সহজ সরল গরীব মিন্টুকে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য প্রদান করা হয়েছে।
তালিকা নিয়ে অন্য সব অভিযোগ গুলো আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।একটি পক্ষ আমার মানসম্মান নষ্ট করার জন্য ওঠে পড়ে আছেন বলে তিনি জানান।
কসবা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী বলেন, তদন্ত চলছে, তার রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সরেজমিনের প্রতিবেদন জমা প্রদান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বলেন, তালিকায় কোনো ধরণের ভুল-ভ্রান্তি থাকলে তদন্ত শেষে সেগুলো মন্ত্রণালয়ে লিখে পাঠানো হবে। চেয়ারম্যান যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
« নাসিরনগরে মৃত্যুর গুজবে প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট (পূর্বের সংবাদ)