কসবার বায়েকে মুুক্তিযুদ্ধ কোল্লাপাথর সমাধিস্থল
খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী: তর প্রেরণার উৎসব।
ডিসেম্বর মানে মুক্তিযুদ্ধের একটি সংগ্রামী নাম, একটি ইতিহাস,একটি স্বাধীনতা, শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নাম । ডিসেম্বর মানেই অজেয় বাঙালি দুর্জয়। সাহসের গৌরবগাথা । এই মাসটি আনন্দ আর হৃদয়ের আবেক অনুভূতি নিয়ে নানা আনুষ্ঠিকতায় জাতি পালন করে।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ । মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত একটি দর্শনীয় স্থান “কসবা কোল্লা পাথর সমাধিস্থল ”।মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত একটি দর্শনীয় স্থান “কসবা কোল্লা পাথর সমাধিস্থল ”। এই সমাধিস্থলে রয়েছে ৫২ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি । তার মাঝে তিন জনের নাম নেই । একটি রেষ্ট হাউজ ও জামে মসজিদ রয়েছে। হৃদয় আলোড়িত করবে সবুজ পাহাড়েরর বৃক্ষে। প্রতিদিন অগণিত দর্শনাথীদের আগমনে সরব হয় এ স্মৃতি কোল্লাপাথর। দর্শনাথীদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। আবার আনেকে মুক্তিযুদ্ধে না দেখেও হৃদয়ে ধারণ করতে চান সেই মুক্তিসংগ্রামের দিনগুলোকে। অনুধাবন করতে চান মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত র্মর্মার্থ। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর ভিওি করে কোল্লাপাথরে সারি বদ্ধভাবে নাম ঠিকানা অনুসারে শহীদের কবর সাজানো হয়েছে । ফলে দর্শনার্থীরা খুব সহজেই মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বীরদের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারছেন। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের পুরো জাতির যেমন গৌরবের ও অহংকারের বিষয়, তেমনি বেদনারও কম নয়। আমরা হারিয়েছি ৩০ লাখ বাঙালি সন্তানকে। এই রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধকে জাতির সামনে তুলে ধরার মহান প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে চলেছে মুক্তিযুদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা কোল্লাপাথর সমাধিস্থল । রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থা থাকায় প্রতিদিন কোল্লাপাথর শহীদ সমাধিস্থলে অগণিত দর্শনাথীদের আগমনে অসুবিধা হওয়ার বিষয়টি এখন প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। মহান বিজয়ের মাসে সকল বীর শহীদদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।