কসবায় সার পেলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাম্প্রতিক বন্যায় সার পেলেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক-কৃষাণীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬ হাজার কৃষক-কৃষাণীর মাঝে এসব সার বিতরন করা হয়। এদের মধ্যে বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ বায়েক ইউনিয়নের ৪ হাজার এবং অন্যান্য ইউনিয়নের ২ হাজার কৃষক-কৃষাণী রয়েছেন। প্রতি কৃষককে ১০ কেজি ডিএফপি, ১০ কেজি এমওপি সার ও রোপন খরচ বাবদ নগদ ১ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে সার বিতরন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় সার বিতরন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তারেক মাহমুদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভূইয়া, কসবা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন ও গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়াসহ অন্যরা। এসময় কৃষি উপসহকারীগন ও উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢল ও আকষ্মিক বন্যায় কসবা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৫শ ৮৩ হেক্টর জমি তলিয়ে যায়। রোপনকৃত আমন পচে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কৃষক। নষ্ট হয়ে যায় ওইসব এলাকার সকল ১০ হেক্টর পরিমান বীজতলা। এছাড়াও ১শ ৭৫ হেক্টর পরিমান রোপনকৃত সবজি নষ্ট হয়ে যায়। পানি চলে যাওয়ার পর চারা সংকটে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় কৃষক। দ্রুত বীজতলা তৈরী করতে গত ২৮ আগষ্ট কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক-কৃষাণীর মাঝে ৫ কেজি করে ধানের বীজ দেয়া হয়। স্থানীয় কৃষকরা বীজতলা তৈরি ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপনের কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি তরী বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকেও বায়েক এলাকার কৃষকদের মাঝে চারা বিতরন করেছেন। সবমিলিয়ে বন্যা পরবর্তী ধকল কাটানোর চেষ্টায় নিরলস কাজ করছেন কৃষি অফিস।