Main Menu

কসবায় আতংকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ॥ সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শংকায় সংবাদ সম্মেলন

+100%-

কসবা প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া প্রতিপক্ষ কাপ পিরিচ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থিদের দ্বারা যে কোন সময় হামলার শিকার হতে পারেন বলে আশংকা করছেন। তাঁর কর্মী-সমর্থকদের মারধোরসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। রোববার রাতে তার বিশ্বস্ত কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত করেছে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন। নির্বাচনী মাঠে সমতা নেই এমন অভিযোগ এনে আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে তাঁর কসবাস্থ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনারের নিকট শতভাগ সুস্থ নির্বাচনের দাবী জানান। তিনি নির্বাচনে ৩৮টি কেন্দ্রে ঝুকিপূর্ণ তালিকা করে নিরাপত্তা আরো জোরদার করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, গত রোববার গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে পিটিয়ে রক্তাক্ত জমখপ্রাপ্ত করেছে তার একনিষ্ট কর্মী উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশকে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। একই রাতে অপর সমর্থক লেশিয়ারা গ্রামের মনির ডিলারের বাড়ি ভাংচুর এবং তাকে মারধোর করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া বাদী হয়ে ২০জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ওয়াসিম মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন্য ত্যাগী মানুষ। আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। আমি দুই বার মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয়ের এপিএস ছিলাম। আমি দলের জন্য প্রায় ৪০ বছর ধরে কাজ করছি। উপজেলার শিমরাইল গ্রামে আমার নির্বাচনী গাড়ী ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের কর্মী সাবেক ইউপি চেযারম্যান আলম মিয়ার নেতৃত্বে। আমি নিরাত্তাহীনতায় ভূগছি। যে কোন সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আমি তাদের হুমকির ভয়ে পানিয়ারুপ, শাহপুর ও ধ্বজনগর গ্রামে প্রচারনা করতে যেতে পারিনি। আমি মাননীয় আইনমন্ত্রী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তাই ৩৮টি নির্বাচনী কেন্দ্রকে অধিক ঝুকিপূর্ণ তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আফজাল হোসেন রিমন ও তাঁর সমর্থিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী। তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ছাইদুর রহমান স্বপন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূইয়া। রুহুল আমিন ভূইয়া সমর্থন করেছেন সাইদুর রহমান স্বপনকে। এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন রাশেদুল কাউছার ভুইয়া ও সাইদুর রহমান স্বপন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া। এ উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন ও কসবা পৌরসভায় ৮৩টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। তাদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৬জন।