আখাউড়ার মেয়রের অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন সময়ে হওয়া একাধিক অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে চিঠি দিয়ে তাকজিল খলিফা ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তারের আর্থিক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
তাকজিল খলিফা কাজল আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও একইসঙ্গে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক। তিনবার নির্বাচিত বেশ প্রভাবশালী এ মেয়রের সম্পদের পরিমান প্রতিনিয়তই বাড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে এলাকার নানা বিষয়ে ব্যাপক প্রভাব খাটানোর অভিযোগও রয়েছে তিনি ও তাঁর স্বজনদের বিরুদ্ধে।
দুদক কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারি পরিচালক কাজী মো. নাজমুস সা’দাৎ স্বাক্ষরিত ২২ আগস্টের এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব পেয়েছেন। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে দুদকের ঢাকার প্রধান কার্যালয় ও ২০২০ সালে দুদকের কুমিল্লার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে যে অভিযোগ জমা পড়েছে এগুলোর তদন্তে নেমেছেন।
ওই চিঠিতে অভিযোগে সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করা হয়, তাকজিল খলিফার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে লিজ ও দলিল সৃজন, নদীতে বেআইনিভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন, রাধানগর গ্রামে আড়াই কোটি টাকার বাড়ি নির্মাণ, ভাইয়ের নামে কোটি টাকার বাড়ি নির্মাণ, ঢাকায় ফ্ল্যাট ক্রয়, রেলওয়ে জায়গা আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই চিঠিতে মেয়র ও তার স্ত্রীর নামে হিসাব, সঞ্চয়পত্র, ডিপিএস, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড এফডিআর এর তথ্য চাওয়া হয় ব্যাংকের কাছ থেকে।
দুদক কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারি পরিচালক কাজী মো. নাজমুস সা’দাৎ জানান, আখাউড়ার মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। ব্যাংক থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে আরো তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের ওই কর্মকর্তা।
মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুদক আমার বিষয়ে তদন্ত করছে কিনা আমি জানি না। তারা তদন্ত করলে তো আমাকে জানাবে না।’