Main Menu

আখাউড়া পৌরসভা : প্রবাসী ভাইয়ের টাকায় নির্বাচন করছেন আ.লীগ প্রার্থী

+100%-

kazalchairmanডেস্ক ২৪:: আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ৭ জন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের অর্থ সম্পদ সবচেয়ে কম। বিগত ৪ বছর ধরে তিনি পৌরসভার মেয়র থাকা সত্ত্বেও তার অর্থ সম্পদ খুবই নগণ্য। পৌর নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি এমন বিস্ময়কর তথ্যই উল্লেখ করেছেন।

মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বিকম পাস। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধারায় ৭টি মামলা হলেও তিনি সেসব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। তার নগদ টাকা আছে ২৫ হাজার। তার নিজ নামে কোন বাড়ি বা অন্যান্য সম্পদ নেই। তিনি মাত্র পৌনে এক শতক অকৃষি জমির মালিক। তার পেশা আমদানি-রফতানি ব্যবসা হলেও ব্যবসা থেকে থেকে তার কোন আয় নেই। মেয়র হিসেবে তিনি বছরে সম্মানী ভাতা পান ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর ২১ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা আছে। তাকজিল খলিফা নির্বাচনের পুরো দুই লাখ টাকা ব্যয় করবেন তার প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত দানের টাকায়।

সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে উচ্চশিক্ষিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সোহেল ভূইয়া। তিনি এমএসএস পাস। পেশায় আইনজীবী। তার হাতে নগদ টাকা আছে ৯ লাখ ৬০ হাজার। স্বর্ণ আছে ২৫ ভরি। কৃষি জমি ১৪ শতক। আইনপেশায় বছর আয় করেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু ৮ম শ্রেণী পাস। তার স’মিলের ব্যবসা। ব্যবসা ও কৃষিখাত থেকে তার বার্ষিক আয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মশিউর রহমান বাবুল ৮ম শ্রেণী পাস। তিনি ব্যবসায়ী। তার ২টি দোকান ভিটি ও ৪৫ শতক কৃষি জমি, নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ব্যাংকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাহ উদ্দিন আল হোসাইন চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা করেন। ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৩ লাখ টাকা। তার হাতে নগদ আছে ১ লাখ টাকা। ব্যাংকে আছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর ২৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আছে।






Shares