Main Menu

৪৩ বছর পর শূন্যরেখায় শহীদদের গণকবর সংরক্ষণ

+100%-

প্রতিনিধি : ৪৩ বছর ধরে অবহেলিত ও অরক্ষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সেনারবাদী এলাকার নোম্যানস ল্যান্ডের সেই গণকবরটি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানে ঘুমিয়ে আছেন নাম না জানা ২৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

মহান বিজয় দিবসের দিন থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গণকবরের বাংলাদেশ অংশের ঝোপঝাঁড় পরিষ্কার করা শুরু হয়। এ ছাড়া বুধবার গণকবরের সামনের অংশে দুটি পিলার বসিয়ে এলাকা চিহ্নিত করেছে বিজিবি। পিলার দুটিতে বিজিবি নিজ হাতেই লাল রং করে দেয়।এলাকাটি আখাউড়ার সেনারবাদী আর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রামনগর গ্রামের মধ্যবর্তী সীমান্তের শূন্যরেখায় (সীমানা পিলার থেকে ১৫০ গজ)।


এখানে প্রায় ২৫০ জন শহীদের কবর। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের এই কবর স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবছর সীমান্তের এই এলাকার বাংলাদেশ অংশে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
আখাউড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে আখাউড়া, কসবা, মনতলা, কুমিল্লা, বিলোনিয়া, বাসরুমসহ ত্রিপুরা সীমান্তের অদূরে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়া হয় ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার জিবি হাসপাতালে। যুদ্ধাহত যাঁরা সেখানে মারা গেছেন, তাঁদের গাড়িতে করে পাঠানো হতো আগরতলার রামনগর গ্রামে। আর সেখান থেকে তাঁদের মরদেহ এনে আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের সেনারবাদী গ্রামের কবরস্থানে সমাহিত করা হতো।
সেনারবাদী গণকবরের পাশের বাড়িটি আজিজুর রহমানের। ১৯৭১ সালে তিনি ওই কবরস্থানে ৭০-৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ দাফন করেছেন। আজিজুর রহমান জানান, গাজীরবাজার, চেকপোস্ট এবং এর আশপাশের এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মরদেহ আনা হতো। আগরতলা জিবি হাসপাতাল থেকেও পাঠানো হতো মুক্তিযোদ্ধাদের মরদেহ। জায়গার তুলনায় মরদেহ বেশি আসায় একটি কবরে পাঁচ থেকে ছয়জনকেও দাফন দেওয়া হয়েছে।
বিজিবি গণকবর পরিষ্কারের কথা জানালে  মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. মাসুম মিয়া গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে তাদের সহযোগিতায় গণকবরের সামনের অংশ থেকে ছোট গাছ কেটে পরিষ্কার করা হয়। এ পরিষ্কারকাজ অব্যাহত থাকবে। তবে প্রচুর পিঁপড়া থাকায় কেউ সেখানে কাজ করতে পারছিলেন না। সাত-আটজন মিলে গণকবরের সামনের অংশ পরিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া বিজিবি সেখানে দুটি পিলার বসিয়ে দিয়েছে।বিজিবি স্থলবন্দর ফাঁড়ির ইনর্চাজ নায়েক সুবেদার মো. শফিউর রহমান বলেন, ‘গণকবরটির বাংলাদেশ অংশ পরিষ্কার করার জন্য আমাদের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক পরিচ্ছন্ন ও এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। গণকবর পরিষ্কার করার বিষয়টি আগে থেকেই বিএসএফকে অবহিত করা হয়।’






Shares