ভারত-বাংলাদেশ রেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ডেস্ক ২৪:: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের অর্থায়নে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। ৩১ জুলাই রোববার দুপুরে আগরতলার ত্রিপুরা এলাকায় দুই দেশের রেলমন্ত্রী যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
৬৯ বছর পর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে রোববার সকাল ৭টায় বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ত্রিপুরার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তার সঙ্গে রয়েছেন রেল-সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেলমন্ত্রীর পিএস ও এপিএস। দুপুর ১২টায় ত্রিপুরায় বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী ও ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু যৌথভাবে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ৬৯ বছর পর আবার চালু হচ্ছে। ১৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ কিলোমিটার ভারতের অংশে এবং ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের অংশে। ইতোমধ্যে ভারতের অংশের জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি রুপি (৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা)। এ ব্যয়ের মধ্যে ৪২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া যাবে ভারত সরকার থেকে। ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে আগামী ২০১৭ সালে কাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে বলে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ পুরো অংশ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮০ কোটি রুপি। এর মধ্যে ভারতের ৫ কিলোমিটার অংশের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি রুপি। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশের জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও অন্যান্য রাজস্ব খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর ১০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণে ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা অনুদান হিসেবে দেবে ভারত।
দুই দেশের এ রেল সংযোগ হবে একই সঙ্গে মিটার ও ব্রডগেজে। বাংলাদেশের দিকে প্রথম স্টেশন হবে গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগর থেকে আখাউড়ার মধ্যে বর্তমান স্টেশনের পাশ দিয়ে তৈরি হবে নতুন রেললাইন। আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বের হয়ে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এ রেলপথ।
আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পের বাংলাদেশের দিকে ১০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে জমি অধিগ্রহণসহ যাবতীয় অর্থ সরবরাহ করবে ভারতের (বিদেশ মন্ত্রক) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলার অভ্যন্তরে জমি অধিগ্রহণসহ ৫ কিলোমিটার লাইন নির্মাণে অর্থ দেবে ভারতের ডোনার মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মাণে অর্থাৎ এ প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। দুই দেশের জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন নির্মাণ, আগরতলার উড়াল লাইনের নিচে ডাবল লেন সড়কসহ যাবতীয় কাজের জন্য এ অর্থ ব্যয় করা হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা আখাউড়া-আগরতলার ত্রিপুরার রেলপথ নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এখন আর অনিশ্চয়তা নেই। অর্থের যোগান হয়ে গেছে। ৪০০ কোটি রুপি অনুদানের বিষয়টি এরই মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এখন আর নতুন এই রেলপথ নির্মাণে কোনো সমস্যা নেই।
Six years after the finalisation of a new India-Bangladesh railway project, railway ministers of the two countries on Sunday laid the foundation stone of a Rs 968 crore vital rail link scheme.
Indian Railway Minister Suresh Prabhu and his Bangladeshi counterpart Mazibul Hoque jointly laid the foundation stone for the 15 km Agartala (India)- Akhaura (Bangladesh) railway project.
The Agartala-Akhaura railway project was finalised in January 2010 when Bangladesh premier Sheikh Hasina met then Indian Prime Minister Manmohan Singh during her visit to New Delhi.
The project, which was sanctioned in the 2012-13 railway budget, would be a part of the Trans Asian Railway network and would provide a much shorter connectivity from northeastern states to Kolkata via Bangladesh.
Prabhu said that on completion, the India-Bangladesh rail link project would be a gateway to the entire northeastern region, comprising eight states.
“The Agartala-Akhaura international railway link would boost socio-economic development of the mountainous northeast region,” he said at a function organized to lay the foundation stone of the rail project and to flag-off Agartala-Delhi passenger train service.
Prime Minister Narendra Modi had discussed the railway project with Hasina during his visit to Dhaka in June 2015. The Indian government would bear the entire expenditure of the railway project.
Northeast Frontier Railway (NFR) General Manager H.K.Jaggi said that the Union Development of North Eastern Region (DoNER) Ministry has already released Rs 97 crore to acquire required land to lay rail line in Tripura.
“Following the Tripura government’s persistent persuasion and intervention by the Prime Minister’s Office, the DoNER Ministry has agreed to provide Rs 580 crore for the Tripura part of the Agartala-Akhaura railway project,” Tripura Transport Minister Manik Dey told IANS.
“The state government would soon start work for acquisition of required 67 acres land,” he said, adding that the Agartala-Akhaura railway project would provide a major boost to development and economy of northeastern India and eastern Bangladesh.
“India’s external affairs ministry would provide necessary funds for the Bangladesh portion of the Agartala-Akhaura rail project,” he said.
The 1,613-km mountainous route distance between Agartala and Kolkata via Guwahati-New Jalpaiguri-Kishanganj (Bihar)-Malda would be reduced to only 514-km once the new rail track is linked through Bangladesh.
The state-owned Indian Railway Construction Company (IRCON) has been nominated to act as technical advisor for Bangladesh portion and to execute the work in Indian portion.
The NFR General Manager Jaggi said that the Indian government had announced it would bear the entire cost of the 15-km railway project. Of the 15 km, 5 km fall in the Indian territory and the remaining in Bangladesh.
On the Indian side, some portion of the track would be elevated to avoid farm land and habitations.
The NFR is the nodal agency for the project, for which alignment of rail line and other technical details were earlier finalised by officials of both India and Bangladesh.
Currently, India and Bangladesh have four rail links with West Bengal.
The existing railway line from Guwahati passes through Lumding in Nagaon district (in central Assam) and southern Assam connecting Agartala and parts of Manipur and Mizoram with the rest of India.
The Guwahati-Silchar railway line is the lifeline for southern Assam comprising four districts – Cachar, Karimganj, Hailakandi, Dima Hasao district, known as Barak Valley, and the mountainous states of Tripura, Manipur and Mizoram, which are heavily dependent on this line for supply of foodgrain, fertilisers, petroleum products, construction materials and other commodities besides ferrying passengers.
The 437-km Lumding-Silchar and Badarpur-Agartala gauge conversion work was sanctioned in 1996 and had completed earlier this year.
After India’s independence, Agartala was the first state capital to come up on the rail map (metre gauge line) in October 2008. — IANS