কসবা ও আখাউড়ায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে প্রশাসনের ত্রান বিতরন
কসবা ও আখাউড়া উপজেলার প্লাবিত এলাকায় আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপির নির্দেশনায় ত্রান বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওই সব আক্রান্ত এলাকায় সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি শুকনো খাবার হিসেবে চিড়া, মুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
আক্রান্ত এলাকায় ৩০ টন চাল ও ১০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের নির্দেশনা দেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রীর পক্ষে ত্রান বিতরণ করতে ছুটে আসেন একান্ত সহকারি সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া জীবন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বশিরুল হক ভ‚ঞা, ইউএনও মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন, যুগ্ন-আহবায়ক আবুল কাশেম ভ’ইয়া, সেলিম ভ’ইয়া, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ তানজিল শাহ, সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন বিকেল উপস্থিত থেকে ত্রান বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন বন্যায় কবলিত হয়। এতে মানুষের মাঝে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়।
উপজেলার দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ এলাকার ভারত সীমান্তবর্তী অন্তত ২০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের মধ্যে রয়েছে, কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রাজেন্দ্রপুর, খারকুট, আইড়ল, লক্ষীপুর, বড় লৌহঘর, গাঙ্গাইল, ষোল লৌহঘর, টনকী, বান্ডুশাহ ইত্যাদি। আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ভারত থেকে আসা পানির কারণে আমাদের এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানি সরতে পারছে না বলে এখানকার সাধারন মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ’
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী অন্তত ১৫টির মতো গ্রামে আকস্মিক পানি উঠেছে। আইনমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক খুব দ্রুতই আক্রান্ত এলাকায় ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া আক্রান্তদের সহযোগিতায় অন্যান্য পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে।