আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা, ৩৫ ঘন্টায়ও ধরা পড়েনি মূল আসামী



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুলিশের কাছ থেকে মাদক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলুকে (৩৫) হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো- দেলোয়ার হোসেনের বাবা মহরম আলী (৭০), তার দুই বোন মিনারা (২৩) ও রুনা (১৯), ভাবি সুমি আক্তার (২০) এবং তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া হালিমা (৪০)। এঘটনায় আখাউড়া থানায় পুলিশ বাদী আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে, পুলিশ শুক্রবার রাতেই আজমপুর এলাকা থেকে আসামি দেলুর ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করে। এ সময় প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ৩২ বোতল হুইস্কি ও চার বোতল বিয়ার জব্দ করা হয়। এছাড়া, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত দু’টি সিএনজি চালিত অটোরিকশাও জব্দ করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.এ মাসুদ এ ঘটনার বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান পলাশের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক পাঁচজনকে পুলিশ এ্যসল্ট মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় আসামী ভারতে পালিয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নয়, তবে পুলিশের কাছ থেকে বাঁচতে আসামীরা অনেক আশ্রয়েই যেতে পারেন।
এদিকে, এ ঘটনা তদন্তে নবীনগর সার্কেল এএসপি মো: আলাউদ্দিন কে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
নবীনগর সার্কেল এএসপি মো: আলাউদ্দিন জানান, আমরা দেলোয়ারকে ধরতে আখাউড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি দ্রুত তাকে পুনরায় গ্রেফতার করতে পারব।