আখাউড়ায় কোরবানির পশুর চামড়া পানির দরে বিক্রি
আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কারসাজি করে পানির দরে কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয় করেছে মৌসুমী চামড়া ক্রেতারা। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল সিন্ডিকেট তৈরী করে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদেরকে পাড়া মহল্লায় ডুকতে না দেয়ায় স্বল্প দামে গরু,মহিষ ও ছাগলের চামড়া কিনে নেয় তারা। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। কয়েক ঘন্টা ব্যাবধানে ক্রয়কৃত কোরবানির পশুর চামড়াগুলো তারাই আবার অতিরিক্ত মুনাফায় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন। ফলে অসহায় হতদরিদ্র ও দুস্থদের ভাগ্যে জুটেনি প্রকৃত চামড়ার টাকা।
খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছর কোরবানির ঈদ আসলে শহরসহ গ্রামাঞ্চলের অসহায় হতদরিদ্র ও দুস্থরা কোরবানির চামড়ার আয়ের দিকে চেয়ে থাকেন। আবার অনেক নিকট গরিব আত্মিয় স্বজন চামড়ার টাকা নিতে ঈদের আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। তাছাড়া মাদ্রাসার লোকজন অসহায় হতদরিদ্র ও দুস্থরা ঈদের পর দিন থেকে চামড়ার টাকা সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভীড় জমায়। কিন্তু এ বছর সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে চামড়ার দাম কম হওয়ায় অসহায় হতদরিদ্র ও দুস্থদের ভাগ্যে সামান্য টাকা জুটায় তারা হতাশ হয়েছেন।
সূত্র জানায় কোরবানির ঈদ আসলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল চামড়া কেনার জন্য সিন্ডিকেট তৈরী করেন। ওই সিন্ডিকেটে রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের রাজনৈতিক নেতারা। তবে এক্ষেত্রে তাদের কোন বিরোধ নেই। ওই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটরাই প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে শহরসহ গ্রামাঞ্চলে ডুকতে না দেয়ায় চামড়ার ভাল দাম পায়নি বলে অভিযোগ উঠে। ফলে তারা কম দামে চামড়া সংগ্রহ করে আবার রাতের মধ্যেই চড়া দামে বিক্রি করে দেয়। সিন্ডিকেটে চামড়ায় বেশী লাভ থাকায় এলাকার বহু লোক নেমে পড়েন এ মৌসুমী ব্যবসায়। এ ব্যবসায় জড়িত বেশী ভাগ লোকজন এলাকায় পরিচিতি হওয়ায় এ ক্ষেত্রে তাদের থাকছে বাড়তি সুবিধা। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর চামড়া ৭শ টাকা থেকে উপড়ে ১১শত টাকা, মহিষ ৬শ থেকে ৮শ, ছাগল ১শ থেকে ১৫০টাকা বিক্রি হয়েছে।
পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার মো: বাছির মিয়া বলেন, ৬৫হাজার টাকার গরু চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৮শ টাকায়।
তারাগন এলাকালার কামরুল হাসান বলেন বলেন, ৫০ হাজার টাকার কেনা মহিষ চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৭ শ’টাকায়। তারা বলেন, পরিচিত লোকদের কাছে বিক্রি করে ভাল দাম পাননি বলে জানায়।